পাতা:হুতোম প্যাঁচার নক্‌শা.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতার বারোইয়ারি পূজা । ৫৯


কবি । রাজা নবকৃষ্ণ কবির বড় পেট্রন ছিলেন । ইংলণ্ডের কুইন এলিজেবেথের আমলে যেমন বড় বড় কবি ও গ্রন্থকর্তা জন্মান, তেমনি তাঁর আমলেও সেই রকম রাম বসু, হরু, মিলু, রামপ্রসাদ ঠাকুর ও জগা প্রভৃতি বড় বড় কবিওয়ালা জন্মায় । তিনিই কবি গাওনার মান বাড়ান, তাঁর অনুরোধে ও দ্যাখা দেখি অনেক বড় মানুষ কবিতে মাতলেন । বাগবাজারের পক্ষীর দল এই সময় জন্ম গ্রহণ করে । শিবচন্দ্র ঠাকুব ( পক্ষীর দলের সৃষ্টিকর্তা ) নবকৃষ্ণর এক জন ইয়ার ছিলেন । শিবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বাগবাজারের রিফরমেসনে রামমোহন রায়েব সমতুল্য লোক-তিনি বাগবাজারেদের উড়তে শেখান ! সুতরাং কিছু দিন-বাগবাজারেরা সহরের টেক্কা হযে পড়েন । তাঁদের এক খানি পব্‌লিক আটচালা ছিলো, সেই খানে এসে পাকি হতেন, বুলি ঝাড়তেন ও উড়তেন — এ সওরীর(?) বোস গাড়ার ভেতরেও দু চার গাঁজার আড্ডা ছিল । এখন অার পক্ষীর দল নাই, গুখুরি ও ঝকমারিব দলও অন্তর্ধান হয়ে গেছে, পাকিরা বুড়ো হয়ে সরে গেছেন, দু একটা অtধ্মরা বুড়ো গোছের পক্ষী এখনও দেখা যায়, দল ভাঙ্গা ও টাকার খাঁকতিতে মন মরা হয়ে পড়েচে সুতরাং সন্ধ্যার পর ঝুমুর শুনে থাকেন। আডডাটি মিউনিসিপাল কমিসন য়েরা উঠিয়ে দেছেন, অ্যাখন কেবল তার রুইনমাত্র পড়ে আছে । পূর্ব্বের বড় মানুষেরা এখনকার বড় মানুষদের মত ব্রিটিস্‌ ইণ্ডিয়ান এসোসিয়েসন, এড্রেস, মিটিং ও ছাপাখানা নিয়ে বিব্রত ছিলেম না, প্রায় সকলেরই একটি একটি রাঁড় ছিল, (এখনও অনেকের অাছে ) বেলা দুপুবের পর উঠতেন, আহ্নিকের আড়ম্বরটাও বড় ছিলো - দু তিন ঘণ্টার কম আহ্নিক শেষ হতো না, তেল মাখতে ও ঝাড়া চার ঘন্টা।