বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 হেমচন্দ্র । উদয়চাঁদ । (হস্ত ধরিয়া) তুচ্ছ কথা নিয়ে এত রাগ কেন, না হয় আমি উঠে গিয়ে চিঠিখান পড় চি । জগদম্বা ! যাও পড়গে । তুমি আমার ছাত ছেড়ে দেও, দেও বলচি– উদয়ৰ্চাদ। আচ্ছ দিচ্চি ; তুমি ঘরে বসে, আমি আসূচি। জগদম্ব । ফিরে এসে আমার সব দুঃখ ঘোচাবে । উদয়চাঁদ। তুমি সৰ্ব্বময়ী কী তোমার আবার দুজুকিসের? ছেম যদি বোঁকে সোনার গহনা দেয়, আমিও তোমাকে দেবে। জগদম্ব । সে দিলে তুমি আমাকে দেবে, তুমি কেন আমাকে আগে দেওনা ? হেমের চাকরি হয়েচে, হেম এখন তার মাগকে দেবে, দেবেই দেবে, না হয় ওমাসে দেবে, তুমি কেন আমাকে এমাসে দেও না । সরলার গায়ে কিছুই নেই, তাতেই তার অহঙ্কারে মাটীতে পা পড়ে না তার গায়ে একবার সোনা উঠলে কি সে তামাকে মানবে—ছুতে ক’রে এসে আমার গালে ঠোন মেরে যাবে। উদয়ৰ্চাদ । তা যদি করে তাহ’লে দূর করে দিও। জগদম্ব । তা তো দেবেই—তবু মধ্যিখান থেকে কেন অপমান হুই । উদয়ৰ্চাদ । আচ্ছ। এই মাসেই একখানা গড়াতে দেবো । জগদম্ব । কবে –কদিন পরে দেবে? উদয়ৰ্চাদ। খাজনা পত্রগুলে। সেধে নিয়ে এসে এই মাসের দু-চার দিন থাকৃতে গড়াতে দেবে। জগদম্বা। না দেও তো কাছে আসতে দেবেন। ( অল্প বেঁকে বসা । ) উদয়চাঁদ । আবার কেন ঘুরে বস্চে ? জগদম্ব । ব’স্বে না কেন তোমার যেমন ভালবাস ! উদয়ৰ্চাদ। আবার কি ক'রে বাস্বো ? গহন। চাইলে বল্লুম দেখে, আবার বলে এই মাসেই চাই আমি বল্লুম তাই দেৰে—