বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অঙ্ক । ২৩ হেমচন্দ্র । ( শূন্ত নয়নে) অ্যা-আমি—তরিবুল্লা—আগুণ—ধৰ্ম্ম—ম। হরপ্রসাদ । ( উঠিয়া) শাল পাজি, এখন নষ্টামি ক’রে পাগল ছ’চ্চ, শাল। গলায় ছুরি দিতে বসেচে ? (মারিতে উদ্যত ) দেওয়ান | ইঁ্য৷ ই্যা করেন কি ব্রাহ্মণ ! হরপ্রসাদ। যে ব্রাহ্মণ ঘরে আগুণ দিয়ে মানুষ গোৰু পুড়িয়ে মারে সে আবার ব্রাহ্মণ ! তুমি বেটীকে নীচে নিয়ে যাও, বেট দোষ কবুল কৰুক, তা ছ’লে ওর পক্ষে মঙ্গল হবে ; ওর যদি কেউ থাকে তাদের না হয় দয়া ভেবে মাসস্থর দেবো, আমি এই পৰ্য্যন্ত করতে পারি ; ( দেওয়ানের প্রতি চাহিয়। ) তুমি কি বল ? দেওয়ান। তার আর বল্বার সর কি ! ( হেমচন্দ্রের হস্ত ধরিয়া ) জমিদার মহাশয় হুকুম করচেন নীচে এস— ( নীচে গমন । ) হরপ্রসাদ । যাই শুনি গে কি বলে । ( গমন । ) চতুর্থ গর্ভাঙ্ক । (মুঙ্গের, প্রিয়নাথ বাবুর বাট; প্রভাতকাল ) হেমচন্দ্র। (স্বগত) এখন উপায় কি? ক্রমে আমার কি দশ হয়ে এল। আমি যাই কোথায় ? নির্দোষ হ’য়েও অবস্থা বৈগুণ্যে আপনাকে দোষী স্বীকার করলুম, কেন না তা না করলে পলাইবার অন্য কোন উপায় ছিল না, এখন প্রচ্ছন্ন-ভাবে এত দূর পলায়ে এসে থাকুবার একটু উপায় করলুম, সে উপায় বুঝি বিধাতা যুচান—দুরাত্মা হরপ্রসাদের কবল