বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্থ অঙ্ক। প্রথম গর্ভাঙ্ক । -=33E (রজনী দুই প্রহর অতীত ; হেমচন্দ্ৰ পৰ্ব্বতস্থ শিলাতলে একাকী অসীন ; ইন্দুমতী একটা ঘন-পল্লবারত রক্ষের অন্তরালে দণ্ডায়মান।) ইন্দুমতী । (স্বগত) হা নয়ন ! হা হৃদয়! হা মন! তোমরা সকলেই কি ব্যাকুল, সকলেই কি অবাধ্য হ’লে ? লজে ! তুমি কোথায় যাইতেছ, তুমিও কি অবাধ্য হ’লে ? রজনি! তুমি দশন বিকাশ করে হাস্ছ, তুমি না রমণী ? হতাশ ! তুমি কেন ওরূপে চাহিয়া আমাকে ক্ষণে ক্ষণে তীত ক’ৰ্বছ ? তুমি কি দেখিতেছ না, আমি আশার অনুবৰ্ত্তিনী হ’য়ে এতদূর এসেছি, এখন কি ফিরিয়া যাব ? যাব কোথায়? সমস্তই ত অসীম মৰুভূমি, কেবল এই স্থানটা ফল-ফুলে পরিশোভিত—যাই (পেচক রব ) ( বিমানে চাছিয়া ) যাই, অদৃষ্টে যা থাকে ঘটুক (মন্দ মন্দ পদ সঞ্চারে হেমচন্দ্রের নিকট গমন) প্রাণনাথ, এই গভীর নিশাতে একাকী ব’সে কি ভাবচেন্‌ ? ছায় ! ও মুখমণ্ডল যদি সৰ্ব্বদা প্রফুল্ল থাকৃত, তাহ’লে বোধ হয় আমার মন এত আকৃষ্ট হ’তে না ( হেমচন্দ্রের সম্মুখে যাইয়া) ছেমচন্দ্ৰ ! আমি— হেমচন্দ্র। (শিহরিয়া) ইন্দুমতি ! এই নিশীথে কি হেতু আমার কাছে? আমি তোমাকে পুনঃ পুনঃ ব’লেছি তোমার এ প্রণয়কে কখন প্রশ্রয় দিব ন—তুমি গৃছে যাও, অমঙ্গল ঘটবে। ইন্দুমতী। অমঙ্গল যাহা ছয় ঘটুক—নাথ, আমি তোমার—(সছস গলদেশ ধারণ }