বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:হেমচন্দ্র.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ অঙ্ক ; {)సి হ্ররাত্মনৃ ভণ্ড-ধাৰ্ম্মিক কৌলিক ! পাপীয়সি দুৰ্ব্বিনীতে ইন্দুমতি অধৰ্ম্ম-পূর্ণে নরক-ময়ি পৃথিবি! নরদেহি পিশাচ-পুরি পৃথিবি ! স্বর্থপরতা, অত্যাচার, দাস্তিকতার অাধার! সজ্জনের শ্মশান-ভূমি ! এক্ষণি রসাতল হ–এক্ষণি কেন্দ্রাভিকর্ষণীশক্তি বিচ্ছিন্ন হইয়। অনন্ত সৌর বক্লিতে দগ্ধ ছ, যেন তোর অঙ্গার মাত্র না থাকে, যেন তোর ধূমাবলীও বিমানে বিস্তীর্ণ না হয়— ( বিমানে ভীষণ বিদ্যুদগ্নি প্রকাশ–দীড়াইয়া ) কৈ—বিদ্যুৎ কৈ, কোথায় লুকালি ? অামার অবস্থা দেখে উপহাস করুচিস্ ? শত যোজন অন্তরে থেকে উপহাস ভীৰুর কাজ ! না আমাকে ভয় দেখাইতেছিস্ ? (পুনৰ্ব্বার বিদ্যুৎস্ফুরণ ) (লম্ফ দিয়া) আয়, প্রস্তুত আছি, মৃত্যুকে ভয় করি না, আর ( বজ্রনাদ ) একি তোর বজ্রনাদ ! ( অধর বক্র করিয়া ) ভীষণ বজ্রনাদ ! ভীষণত কোথায়? এ যে মুরজ-স্বনি ! ( বৃষ্টি পতন ) আয় তোরা সকলে আয়, একত্রে আয়——না—না—কিঞ্চিৎ অপেক্ষা কর, অামাকে প্রতিহিংসার সময় দে ; প্রতিহিংসাই আমার এক্ষণে পরম ধৰ্ম্ম, আমার একমাত্র সুখ, একমাত্র আকাঙ্ক্ষা, অপেক্ষা কর, শুক্রাচার্য্যকে বধ করি, কৌলিকগণকে বধ করি, ( নেপথ্যে বিকট স্বরে ) ও—হে!—হো—রক্ত ধুয়ে গেল, যা—যা—সব রক্ত ধুয়ে গেল—শুক্রাচাৰ্য্য ও হেমচন্দ্রের রক্ত এক ত্ৰিশূলে মিশাব—যা—যা—সব ধুয়ে গেল—ত্রিশূল ঠাণ্ড হ’য়ে গেল, কি অন্ধকার, কিছুই দেখতে পাচি নি (বিদ্যুৎ আলোক ) কৈ হেমচন্দ্র নেই—ওম। শুক্রাচাৰ্য্য এখানে কেমন ক’রে এল—ও কি চোক্‌ ক’রে রয়েছে—ভয়— उज्ञ ! হেমচন্দ্র । ( গম্ভীর স্বরে ) কে পিশাচী—আমাকে বধ করবি? কে তুই শুক্রাচার্য্যকে বধ ক’রলি ? ইন্দুমতী। (হেমচন্দ্রের স্বর লক্ষ্য করিয়৷ নিকটে আসিয়) আমি—আমি —ইন্দুমতী-না—না—পিশাচী নই—ইন্দুমতী—আমি শুক্রাচার্য, আমার পতিকে বধ ক'রেছি—এই ত্রিশূল—রক্ত ধুয়ে গেছে—বধ করেছি—না—না তোমায় বধ করবোনা—আমি পিশাচী নই।--তুমি আমার—উঃ—উঃ—উঃ —উঃ ভয় ক’রচে--দেখ–দেখ কেমন ক’রে চেয়ে রয়েচে–ভয়-ভয়—