পাতা:হেমোপাখ্যান.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R. হেমোপাখ্যান । রাজতনয় সেই চিত্ৰপট নিরীক্ষণ করিয়া সখীরে সম্বোধনান্তে বলিলেন, সথে ! এই চিত্ৰ কামিনীর সৌন্দর্য্য দেখিয়াই কেন উছার গুণগরিমার প্রতি আমার চিত্ত সহসা আকৃষ্ট হইল, এই বলিয়া তিনি বিমর্ষ চিত্তে অধোবদনে উপবেশন করিয়া রছিলেন । সুরসেন তাহার ত্তিবৈকল্য দেখিয়া তাছাকে অন্যমনা করিবার নিমিত্ত জন্য গুছে লইয়া যাইবার চেষ্টা করিলেন কিন্তু কৃতকাৰ্য্য কইভে পরিলেন না, কিয়ৎক্ষণ পরে রাজপুত্ৰ কথঞ্চিৎ মনের স্থৈৰ্য্য সম্পাদন করিয়া বয়স্যকে সম্বোধনপূর্বক বলিলেন, মিত্র ! তোমার সাহায্য ভিন্ন আমার মনোরথ পূর্ণ হইবার সম্ভাবনা নাই, অতএব এ বিষয়ে বিশেষ রূপে তোমায় অনুকুল্য করিতে হইবে । এইরূপ রাজতনয়ের নির্বন্ধতিশয় দর্শনে শূরসেন বিষণ্ণভাবে কিঞ্চিৎকাল তথায় দণ্ডায়মান রছিলেন, পরিশেষে সেই চিত্রপটের নিম্নাক্ষর র্তাহীর নেত্রগোচর স্থইল, তাছাতে লিখিত রছিয়াছে যে এই বাটীর উত্তরাংশে একটি অভিনব কানন আছে সেই কাননের জলাশয় মধ্যে "ঐ কাদম্বিনীকে প্রাপ্ত হওয়! যাইবে । এইরূপ আশ্চৰ্য্য লিপি বৃত্তান্ত অবগত হইয়া শূরসেন কিয়ৎক্ষণ তাছাই অনুশীলন করিতে লাগিলেন, ক্রমে বিভবেরী অবসান হুইল, প্রভাত হুইলে তিনি আর বিলুম্ব না করিয়া অতি সত্বর অস্ত্রে শস্ত্রে সুসঙ্গীভূক্ত হইয়। মিত্রাকুরোধে এবং সেই লিপি অনুসারে উত্তরাভিমুখে গান করিলেন, ক্রমে নবকাননে প্রবেশ করিয়া