পাতা:হ য ব র ল - সুকুমার রায় (১৯৫২).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

মেরে দেখি, একটা জন্তু—মানুষ না বাঁদর, প্যাঁচা না ভূত, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না—খালি হাত-পা ছুঁড়ে হাসছে, আর বলছে, ‘এই গেল গেল—নাড়ি-ভুঁড়ি সব ফেটে গেল!’

হঠাৎ আমায় দেখে সে একটু দম পেয়ে উঠে বলল, ‘ভাগ্যিস তুমি এসে পড়লে, তা না হলে আর একটু হলেই হাসতে-হাসতে পেট ফেটে যাচ্ছিল।’

আমি বললাম, ‘তুমি এমন সাংঘাতিক রকম হাসছ কেন?’

জন্তুটা বলল, ‘কেন হাসছি শুনবে? মনে কর, পৃথিবীটা যদি চ্যাপটা হত, আর সব জল গড়িয়ে ডাঙায় এসে পড়ত, আর ডাঙার মাটি সব ঘুলিয়ে প্যাচ্‌-প্যাচে কাদা হয়ে যেত, আর লোকগুলো সব তার মধ্যে ধপাধপ্ আছাড় খেয়ে পড়ত, তা হলে—হোঃ হোঃ হোঃ হো—’ এই বলে সে আবার হাসতে-হাসতে লুটিয়ে পড়ল।

আমি বললাম, ‘কি আশ্চর্য! এরজন্য তুমি এত ভয়ানক করে হাসছ?’

৩০