পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৩১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাব্যের উপেক্ষিতা Söዓ এখন সেই সখীভাবনিন্মুক্ত স্বতন্ত্রা অনসূয়া এবং প্রিয়ংবদাকে মর্ম্মরিত তপোবনে তাহদের নিজের জীবনকাহিনীসুত্রে অন্বেষণ করিয়া ফিরিতেছি। তাহারা তা ছায়া নহে; শকুন্তলার সঙ্গে সঙ্গে তাহারা এক দিগন্ত হইতে অন্য দিগন্তে অস্ত যায় নাইত। তাহারা জীবন্ত, মূর্ত্তিমতী। রচিত কাব্যের বহির্দেশে, অনভিনীত নাট্যের নেপথ্যে এখন তাহারা বাড়িয়া উঠিয়াছো-অতিপিনদ্ধ বন্ধলে এখন তাহাদের যৌবনকে আর বঁাধিয়া রাখিতে পারিতেছে না—এখন তাহাদের কলহান্ডের উপর অন্তর্ঘািন ভাবের আবেগ নববর্ষার প্রথম মেঘমালার মত অশ্রুগম্ভীর ছায়া ফেলিয়াছে। এখন এক এক দিন সেই অন্যমনস্কাদের উটজপ্রাঙ্গণ হইতে অতিথি আসিয়া ফিরিয়া যায়। আমরাও ফিরিয়া আসিলাম। সংস্কৃত সাহিত্যে আর একটি অনাদৃতা আছে। তাহার সহিত পাঠকদের পরিচয়-সাধন করাইতে আমি কুষ্ঠিত। সে বড় কেহই নহে, সে কাদম্বরী-কাহিনীর পত্রলেখা। সে যেখানে আসিয়া অতি স্বল্প স্থানে আশ্রয় লইয়াছে সেখানে তাহার আসিবার কোনোপ্রকার প্রয়োজন ছিল না। স্থানটি তাহার পক্ষে বড় সংকীর্ণ, একটু এদিকে ওদিকে পা ফেলিলেই সঙ্কট। এই আখ্যায়িকার পত্রলেখা যে সুকুমার সম্বন্ধসূত্রে আবদ্ধ হইয়া আছে সেরূপ সম্বন্ধ আর কোনো সাহিত্যে কোথাও দেখি নাই। অথচ কবি অতি সহজে সরল চিত্তে এই অপূর্ব সম্বন্ধবন্ধনের অবতারণা করিয়াছেন, কোনোখানে এই উর্ণাতন্তুর প্রতি এতটুকু টান পড়ে নাই যাহাতে মুহুর্ত্তেকের জন্য ছিন্ন হইবার আশঙ্কা মাত্র স্বৰটিতে পারে। যুবরাজ চন্দ্রাপীড় যখন অধ্যয়ন সম্পূর্ণ করিয়া প্রাসাদে ফিরিয়া