স্মৃতি কথা।, N OV) ইহার পর নানা সভা সমিতিতে গুরুদাস বাবুকে দেখিয়াছি এবং তঁাহার স্নেহশীর্বাদ লাভ করিয়া কৃতার্থ হইয়াছি। বৎসর দুই পুর্বে আমি তাহার বাটীতে র্তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাই। সেইদিন মন্দ্বিরচিত “মহাত্মা কালীপ্রসন্ন সিংহ” নামক চরিতপুস্তক একখণ্ড তাহাকে উপহার দিই। তিনি বলেন, জীবনচরিতবিষয়ক পুস্তক যত প্রকাশিত হয় ততই ভাল। পরে উহার চিত্রগুলি দেখিতে দেখিতে বলিলেন, “ইহাতে অনেকগুলি সুন্দর সুন্দর চিত্র দিয়াছেন দেখিতেছি।” আমরা বলিলাম “আজ্ঞা হঁ। জীবনচরিতের ত এদেশে তেমন আদর হয় না, চিত্রগুলির দ্বারা আকৃষ্ট হইয়া যদি কেহ এই বই পড়ে, সেই আশায় কতকগুলি চিত্র দিয়াছি।” আমরা অন্য কাহারও জীবনচরিত লিখিতেছি কি না। জিজ্ঞাসা করিলে উত্তর দিলাম যে আমাদের এই ইচ্ছা যে বাঙ্গালার বিগতযুগের বিস্মৃতকীর্ত্তি স্বদেশ সেবকগণের চরিত্রকথা সঙ্কলন করি, কিন্তু শক্তি ও সময়ের অভাবে আমাদের সে ইচ্ছা ফলবতী হইতেছে না। মাসিক পত্রাদিতে জীবনচরিত বিষয়ক কি কি প্রস্তাব লিখিয়াছি সে ংবাদ লইয়া সার গুরুদাস বলিলেন যে “আপনি যে অসার নাটক উপন্যাসাদি না লিখিয়া এই সকল বিষয় লিখিতেছেন, ইহা আনন্দের বিষয়।” আমরা বলিলাম “কিন্তু এদেশে জীবন-চরিত সঙ্কলন করা বড়ই দুরূহ ব্যাপার। আমাদের দেশে সুপ্রসিদ্ধ ব্যক্তিগণেরও ডায়েরী ও চিঠিপত্র কিছুই পাওয়া যায় না। এ অবস্থায় কিরূপে আমরা র্তাহাদিগের কথা ভাল করিয়া জানিতে পারিব? যদি আপনাদের ন্যায় প্রবীন ব্যক্তিগণ সেকালের স্মৃতিকথা বিবৃত করেন তাহা হইলে আমরা সেকালের ব্যক্তিগণের কথা জানিতে পারি। আচার্য্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য মহাশয় “পুরাতন প্রসঙ্গে” যে সকল স্মৃতিকথা বিবৃত করিয়াছেন