TRIBUTEs To IIIs MIEMoRY. 343 সকল ক্ষেত্রে শুচিতাই তঁহার আদর্শ ছিল। কায়মনোবাক্যে তিনি চিরদিন জীবনের শুচিত রক্ষা করিয়া গিয়াছেন। ধর্ম্ম ও নীতির অনুশাসন তিনি ভক্তিপূর্বক পালন করিতেন। জীবনের সকল ক্ষেত্রে, আচারে, ব্যবহারে, সত্যই তঁহার নিয়ামক ছিল। গুরুদাসের মত এমন সত্যনিষ্ঠ ধর্ম্মভীরু, নীতি-পরায়ণ, ভক্তিমান হিন্দু মনীষী সমাজে দ্বিতীয় নাই। সার গুরুদাসের তুলনা সার গুরুদাস। বিনয়, মিষ্ট ভাষিতা, অকপটতা, মেহ, প্রেম, ভক্তি র্তাহার চরিত্রের ভূষণ ছিল। গুরুদাস এক দিকে প্রকৃত বৈষ্ণবের মত ‘তৃণাদপি সুনীচ’ ছিলেন, “তরেরপি সহিষ্ণু’ ছিলেন, স্বয়ং ‘অমানী’ হইয়া “মান দানে” অদ্বিতীয় ছিলেন। কিন্তু অন্যদিকে প্রতিজ্ঞায় আটল, স্বীয় সংস্কারে অচল, সত্যের প্রতিষ্ঠায় অজেয় ছিলেন। গুরুদাসের চিত্ত ভবভূতির ভাষায়, ‘কুসুমের মত মৃদু’ ছিল; কিন্তু প্রয়োজনে তিনি “বজের মত কঠোর’ হইতেন। শত প্রলোভন, সহস্ৰ অনুরোধ, সাধ্য সাধনায় তিনি বিন্দুমাত্র दि5विड श्cडन ना। র্তাহার জীবনে বিনয়ের আতিশয্য ছিল। প্রেমের আতিশয্য ছিল। অপরের মনে বেদনা দিবার শঙ্কাতেও তঁহার আতিশয্য ছিল। কিন্তু তঁহার জীবনে আর কোনও আতিশয্যা ছিল না। তিনি জীবনে মিতাচারী ও মিতভাষী ছিলেন। গুরুদাসের বাক্যনিষ্ঠা যেন সাধনার বস্তু ছিল। তিনি ওজন করিয়া কথা কহিতেন। আপনার মহত্ত্বে উদাসীন, আপনার মহিমায় অন্ধ, গুরুদাস আন্তরিক ভক্তি-উপচারে মহতের পুজা করিতেন; গুণগ্রাহী গুরুদাস যাহাতে গুণের লেশমাত্র দেখিতেন, তঁহাকে অকপটে সমাদর করিতেন। শ্রদ্ধাবুদ্ধি গুরুদাসের চরিত্রের বিশেষত্ব ছিল। যিনি সমগ্র বঙ্গের অনাবিল শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন, শ্রদ্ধার পাত্রে, সামান্য শ্রদ্ধার কারণে তঁহার আন্তরিক শ্রদ্ধা দেখিয়া বিস্ময়ে শ্রদ্ধায় মুগ্ধ হইয়াছি।