ভাগবত—রাজারাম দত্ত—১৭শ শতাব্দী ৷ boo.. যেই স্থানে বসিয়া আছেন রাজা বিভীষণ। তথা গিয়া দণ্ডী রাজা দিল দরশন। তবে রাজা বিভীষণ দণ্ডীকে দেখিয়া। বসাইল অতিশয় আদর করিয়া ৷ বিভীষণ বলে রাজা কহ বিবরণ। কি কারণে তোমার হেথায় আগমন ৷ এতেক শুনিয়া কহে দণ্ডী নরপতি। আমার যে কথা তাহা শুন মহামতি॥ এই তুরঙ্গিণী আমি পাইয়াছি বনে। বলে ইহা নিতে চায় দেব নারায়ণে॥ আপনি লইনু আমি তোমার শরণ। বড় ভয় পাইয়াছি করহ রক্ষণ॥ বিভীষণ বলে দণ্ডী তুমি বুদ্ধিহীন। কৃষ্ণ-সঙ্গে বাদ কর মরিবার চিন (১)॥ ত্রেতাযুগে হৈল প্রভূ রাম অবতার। দশস্কন্ধ হেন রাম করিল সংহার॥ তার সঙ্গে বাদ কর কেমন সাহস। ঘুড়ী দিয়া কৃষ্ণকে খণ্ডায় অপযশ। দণ্ডী বলে বুঝিলাম তোমার বিক্রম। এতেক বলিয়া দণ্ডী করিলা গমন॥ মনে ভাবে ইবে কার লইব শরণ। সুমেরু জাপ্রয়-দানে কে আছে এমন জন করিব রক্ষণ॥ ভীত। এই মত দণ্ডী রাজা ভাবে মনে মন। তুরঙ্গে চড়িয়া যায় আকাশে গমন॥ স্বমেরু-পর্ব্বত যদি বড় বলবান। সে যদি রাখিতে পারে যাব তার স্থান॥ এত বলি সুমেরু-পর্ব্বত স্থানে গেল। আপন বৃত্তান্ত রাজা কহিতে লাগিল। শুনহে পর্ব্বতরাজ মোর নিবেদন। কৃষ্ণ-ভয়ে লইলাম তোমার শরণ॥ বনে পাইয়াছি যুড়া শুনহ কারণ। বলে ধরি নিতে চায় দেব নারায়ণ॥ >ে) চিহ্ন।