পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/১০৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভাগবত—রাধাকৃষ্ণ দাস—১৯শ শতাব্দী।
৯৩৩

দেব-দ্বিজ-অনুরক্ত তুমি হে ভূস্বামী।
দেখিলে তোমায় বড় তুষ্ট হই আমি॥
অপরে কহেন মুনি শুন দণ্ডধারী।
শুনেছি তোমার আছে অদত্তা কুমারী॥
পরম-লক্ষণ কন্যা রূপে ধন্যা অতি।
বর পাত্র স্থির কোথা করেছ নৃপতি॥

ভূপ বলে ভাল কথা কহিলে গোসাই।
দুহিতার তুল্যপাত্র দেখিতে না পাই॥
ভুবন-মোহিনী কন্যা কারে করি দান।
কহ কহ যোগি-রাজ ইহার বিধান॥
মুনি বলে শুন হে বিদর্ভ-অধিপতি।
পাইয়াছ যে কন্যা সে অতি ভাগ্যবতী॥
সকল কারণ আমি জেনেছি যোগেতে।
স্বয়ং লক্ষ্মী অবতীর্ণ তোমার গৃহেতে॥
সে কন্যা সামান্য কন্যা নহে নরেশ্বর।
তার তুল্য একমাত্র আছে পাত্রবর॥
যদু-বংশে জন্ম বসুদেবের কুমার।
দ্বারকা-নগরে বাস কৃষ্ণ নাম তার॥
ধনে মানে কুলে শীলে শ্রেষ্ঠ সকলেতে।
শ্রীকৃষ্ণে প্রদান কর আপন দুহিতে॥

শ্রীকৃষ্ণের নাম শুনে নারদের মুখে।
ডুবিল ভীষ্মক ভূপ পরম পুলকে॥
রাজা বলে হেন দিন হবে কি গোসাই।
জগৎ-পতি কৃষ্ণ হবে আমার জামাই॥
যার নাম করে জীব ভব পার হয়।
সে কৃষ্ণ জামাতা হলে যমের কি ভয়॥
মূঢ়মতি আমি অতি কুমতি কুজ্ঞান।
হবে কি আমায় হরি করিবেন ত্রাণ॥
মুনি বলে যবে তব হয়েছে কুমারী।
তখনি জামাতা কৃষ্ণ হয়েছে তোমারি॥
শুন শুন মহীপতি বলিহে তোমারে।
নারায়ণ বিনা লক্ষ্মী কে লইতে পারে॥