বৌদ্ধযুগ—মাণিকচন্দ্র রাজার গান—খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। OL আমার বয়সের বড় বৃক্ষ যাবে মরিয়া। (১) দুই জনে রাজা কি করিম ভর-যুয়ান (২) হইয়া॥ রাজা বলে শুন ময়না বাক্য মোর ধর। রাজার অসম্মতি। এখনি মোর মাণিকচন্দ্র (৩) যমে লইয়া যাউক। তাহাতেও স্ত্রীর জ্ঞান গরবে না শুনাউক ৷ নারীর জ্ঞান দেখিয়া জ্ঞানে করিল হেলা। ঠিক দুপুর ভাড়য়া যম করিয়া গেল মেলা। (৪) মরণ তৃষা মারিল তুলিয়া। (৫) জল জল বলিয়া রাজা উঠিল কান্দিয়॥ জল যোয়া ও যোয়াও ময়ন স্থনর। ময়নামতীর নিকট এক ঝারি জল দিয়া প্রাণ রক্ষা কর। জল-ষাজ্ঞ। এক শত রাণী আছে মহলের ভিতর। তার হাতে জল খাও রাজ-রাজেশ্বর॥ এক শত রাণীর হস্তের জল আষ্ঠানি গোন্দায়। (৬) তোমার হাতে জল খাইলে বহু ভাগ্য হয়॥ এলায় যদি আমি যাই জলক লাগিয়া। ঐত যম ভাড়য়া তোক লইয়া যাবে বান্ধিয়া। (৭) রাজা বলে শুন ময়না বাক্য মোর ধর। তৈল পাঠের খাড়া থোও বিছানাত ফেলায়া। যখন আসিবে যম ভাড়য়া দৈত্য দানব হঞা॥ তৈল পাঠের খাড়া দিয়া ফেলামু কাটিয়া॥ (১) আমার জ্ঞান-বলে তোমার পরিবর্তে আমা হইতে অধিক বয়সের বৃক্ষ মরিয়া যাইবে, সুতরাং তোমার মৃত্যু হইবে না। (২) পূর্ণ যৌবনা। (৩) আমি যে মাণিকচন্দ্র এখনই আমাকে ইত্যাদি। (৪) ময়নামতীর প্রদত্ত মহাজ্ঞান রাজা গ্রহণ করিলেন না, এজন্ত * ভান্ডুয়া যম? ( যমের দূতগণের মধ্যে একজন,–অপর এক দূত গোদাযমের উল্লেখ পূর্ব্বে আছে ) সেই স্থানে দ্বিপ্রহরে উপস্থিত হইল। (৫) মরণ-কালীয় বিষম তৃষ্ণ ভাড়য়া-যম রাজার প্রতি নিক্ষেপ করিল। (৬) অপর রাণীদের হাতের জলে আষ্টে গন্ধ পাই। (৭) এলায় = এখন; এখন যদি আমি তোমাকে জল খাওয়াইবার জন্ত নিকট হইতে দুরে যাই, অমনি ভাড়য়া যম তোমাকে বাধিয়া লইয়া যাইবে। o