বৌদ্ধযুগ—গোবিন্দচন্দ্রের গীত–খ্রঃ ১১শ-১২শ শতাব্দী। b-> দেখিলা দর্পণে মুখ চাহুচি কুমর। মাতার গঞ্জন ও ক্রোধ ভরে মহামতী (১) কপোলে দেল কর॥ উপদেশ। কি পাই কুমর মণি শরীর নিরেণু। সিদ্ধ পুরুষঙ্ক সঙ্গে আপনাক লেখু। (২) দিক পাল মানে বাবু অবতার হস্তি। মায়া দেহ ছাড়ি মর্ত্যমগুলে রহস্তি॥ ব্রহ্মা বিষ্ণু হইছন্তি দশ অবতার। রক্ষি ন পারন্তি পিণ্ড আপনা কায়া ঘর। (৩) তোহর পিয়র থিলা রূপচন্দ্র রাএ। তো তহু শতেক গুণে সুন্দর তা কাএ। (৪) অন্ধীর দিশই আলো মাণিক তরাসী। সেউকালে ন রহিলা হোইলা বিলাসী॥ অগ্নিরে দহিলে পিণ্ড হুআই যে ধূলি। তো কি পাই দৰ্পণরে শরীর নিহলি ৷ যমরাজ গণিত করিছি প্রতিদিন। সময়ে রে পুত্র তোরে হইব নিধন। এতে বোলি অশ্রুজল পকাই সুন্দরী। শুনি করি চকিত হোইলা দণ্ডধারী॥ হস্তর দর্পণ পাকাইলা ভূমিগতে। রাজার দর্পণ ভূতলে কেমন্তে কহিলা মাগো মোহর অগ্রতে॥ নিক্ষেপ ও মাতাকে অন্নদান বস্থদান দেই আছি মুঞি। প্রবোধ দান। দানেশ্বর ধ্বনি মোর জগতে শুভই। পরজাকু পীড়া নাহি শরণ রথই। অপরাধ অর্জিলা লোক দোষ দ গুই॥ দেবতা ব্রাহ্মণ মোর সেবা নিরস্তর। লক্ষচম্পা নিউড়ই ঈশ্বরঙ্গ শির॥ (৫) (১) ময়নামতী (?)। (২) হে কুমারমণি (কুমার-শ্রেষ্ঠ), তুমি কি জন্য শরীরকে ( এত আগ্রহ সহকারে ) দেখিতেছ? যাহাতে নিজে সিদ্ধ ব্যক্তির শ্রেণীভূক্ত হইতে পাৱ, তাহাই কর। (৩) বিষ্ণু দশ অবতার হইয়াছিলেন, কিন্তু তিনি কোন অবতারেই স্বীয় পিগু ( দেহ ) রক্ষা করিতে পারেন নাই। (৪) তোমার পিতা রূপচন্দ্র তোমা অপেক্ষাও শত গুণে সুন্দর ছিলেন। (৫) শিবের মস্তকে লক্ষ চম্পক-পুষ্প প্রদান করিয়াছি। > ネ