বৌদ্ধযুগ – ময়নামতীর গান–১১শ-১২শ শতাব্দী। যখনে ধর্ম্মী রাজা জননীক কটু বাক্য বলিল। কাটাবিরিখের লাগাএ (১) ময়না ঢলিয়া পড়িল। করুণা করি বুড়ী ময়না কান্দিতে লাগিল। ভগবান এই পুত্র জন্মেছিল এ হৃদি মাকারে। বেটা হঞা কলঙ্ক দিলে ভাই (২) হাড়ির বরাবরে॥ গোরখনাথ হএ গুরু হাড়ি ধর্ম্মের ভাই। দোন জনে জ্ঞান শিখেছি একই হাড়ির ঠাঞি॥ সেই সম্বন্ধে হএ হাড়ি আমার ছোট ভাই। আর একনা দিলে হএ যদি গুরু লাগেৰে দোসর। এক্কেকালে দুষ্ট পুত্র পাঠাই রসাতল॥ (৩) গুরু গুরু বলিয়া ময়না বুড়ী কান্দিতে লাগিল। কৈল্লাসেতে ছিল শিৰ গোরখনাথ আসন নড়িল। কৈল্লাসেতে শিব গোরখনাথ মস্তকে দিল পাও ৷ শিবের ঘরণী নামিল রাজা সতীর মাও। যেন কালে বুড়ী ময়না গুরুকে দেখিল। এক অদ্ধ মস্তকের কেশ দুই অদ্ধ করিয়া। গুরুর চরণে বুড়ী ময়না ভজিয়া॥- - গুরু বাপ এই পুত্র জন্ম দিলেন হৃদের মাঝারে। বেটা হএ কলঙ্ক দিলে ভাই হাড়ির বরাবরে॥ (১) কাটাবিরিখের লাগাএ = কর্তিত বৃক্ষের ন্তায়। (২) হাড়িপা ও ময়নামতী উভয়েই গোরক্ষনাথের চেলা, এই সম্বন্ধে হাড়িপা ময়নামতীর ভাই। (৩) একনা = একখানা = একটি। আমার যদি ইহার দোসর আর একটি পুত্র থাকিত, তবে এই দুষ্ট পুত্রকে এখনি রসাতলে পাঠাইতাম। రి ) গোরক্ষনাথের নিকট ময়নামতীর জাস্তু নিবেদন।