So 8 গোবিন্দচন্দ্র অন্দর মহলে। ময়নামতীর প্রবেশ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। নানাজাতি পক্ষী গাছে করে কোলাহল। পক্ষি-রব শুনি চিত্ত হইল চঞ্চল॥ চারিদিক চাহি যোগী ধ্যান আরম্ভিল। হুঙ্কারে বৃক্ষ সব ভূমিতে ঠেকিল। হেট মুণ্ড হইল গাছ লোটে ভূমিতল। ছিণ্ডিয়া পুত্রের হাতে দিল নানা ফল ৷ হুহুঙ্কার দিয়া পুনঃ চারি পানে চায়। ততক্ষণে বৃক্ষ ডাল উঠিয়া দাণ্ডায়॥ বালাখানায় বসিয়া দেখিল রাজার মা। হাড়ি নয় জানিলাম এই হাড়িপা ৷ গুপ্তবেশে বাউলরূপে আছে এই ঠাঞি। ইহার চেলা করিয়া রাজা গোবিন্দাই॥ বসিয়াছে গোবিন্দচন্দ্র আপনার পুরী। ছয় কুড়ি রাণী কাছে পুতুনা সুন্দরী॥ উতুন পুছন (১) লইয়া করিছে বিলাস। শ্বেত চামরে কেহ করিছে বাতাস॥ অগুরু চন্দন কেহ লেপে সর্ব্ব গায়। কল্প র সহিত কেহ তাম্বল যোগায়। উছনা পুছনা রূপ জলন্ত আগুনি। মেঘের আড়েতে যেন শোভে সৌদামিনী॥ অন্ধকারে শোভা যেন মাণিক উজ্জ্বল। উজুন পুনে রূপে লজ্জিত কমল ৷ ছয় কুড়ি রাণী লয়্যা গোচিন্দচন্দ্র যথা। হেন কালে ময়নামন্ত্রী (২) উত্তরিল তথা॥ মাএ দেখি গোবিন্দচন্দ্র উঠিয়া দাণ্ডায়। প্রণাম করিয়া রাজা আসন যোগায়॥ ময়নামতী বলে বাছ আইনু তোমার ঠাই। বিরলে কহিব কিছু কথা গোবিন্দাই॥ এতেক শুনিয়া রাজা মায়ের বচন। কি আজ্ঞা করিবে মাতা কতনা এথন॥ (১) উড়না ও পুদুন দুই পরম রূপবতী ভগিনী। ইহারা ঢাকা জেলার অন্তর্গত সাভারের রাজা হরিশ্চন্দ্র পালের কন্যা। (Martin’s Eastern India, Vol III, P. 409 ) (২) ময়নামতী।