পরবর্তী কালের গোবিন্দচন্দ্রের গান। రి 9 তোমার পিতা মাণিকচন্দ্র পরম সুন্দর। আমার যৌবনে টুটে কলেবর॥ উকুন পুতুনা নহে একাল নাগিনী। হৃদে বসি পিয়ে মধু জ্ঞান-বিনাশিনী। যে কালে জনক গৃহে আছিলাম আমি। মোরে জ্ঞান দিয়াছেন গোক্ষনাথ মুনি॥ পাঠশালে পড়ি আমি যাই নিকেতন। গোরক্ষনাথের বর-দনি। ষোল শত যোগী হইয়া গোরক্ষ গমন॥ মোরে জিজ্ঞাসিল গুরু গুণের সাগর। রাজার বিয়ারী কিছু ভিক্ষা দেহ মোর॥ প্রণাম করিয়া আমি যাই নিকেতন। যোগিগণে দিব ভিক্ষা মোর হইল মন॥ রাজার ভাণ্ডারে ধন যতেক আছিল। গোক্ষনাথ মায়া পাতি সব উড়াইল। ভিক্ষ মোর নাহি না পাই তখন কুল। ভাণ্ডার দেখিয়া শূন্ত কান্দিয়া আকুল ৷ রজত মুকুতা আদি যেই দিকে চাই। গোক্ষনাথের সম্পাতে ভাণ্ডারে কিছু নাঞি॥ অবশেষে আছে কাজি তার মধ্যে ভাত। সেই খানে না লাগিল যোগীর সম্পাত॥ যতন করিয়া তাহ পূরি স্বর্ণ থালে। যোগীর নিকটে লয়্যা আইনু হেন কালে ৷ পরম হরিষ যোগী হইল সর্ব্বজন। সম্পূর্ণ হইল সভে করিল ভোজন॥ আশীর্ব্বাদ করি গুরু মহাজ্ঞান দিল। চারি যুগ অমর করিয়া মোরে গেল। শুষ্ঠাছি তোমার তত্ত্ব গুরুর বরাবরী। গোবিন্দাই গুরু হইব সিদ্ধা জলন্দরী॥ দুর্লভ কহেন ধর্ম্মহাড়ি ধর্ম্মঅবতার। বিপদ সাগরে গুরু মোরে কর পার॥ রাজা বলে যোগী যদি অমর করিল। গোরক্ষনাথের কৰ। তুমি হেন থাকিতে বাপ কেমতে মরিল॥