〉ab" বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। তবে মহাকাল আদেশিলা সেনাগণে। বান্ধিয়া আনহ শীঘ্র সহস্ৰলোচনে॥ আইলা যতেক দক্ষের জামাতা দুহিতা। লঘির করিয়া বান্ধি রাখ এক ভিতা॥ ধর্ম্ম কোথা গেলা দশ দুহিতার পতি। তার বিদ্যমানে তন্তু বিসৰ্জ্জিলা সতী॥ পারিষদগণ বলে ধর্ম্ম নাঞি দেখি। ইন্দ্র পালাইল হেন বুঝি হৈয়া পার্থী॥ অগ্নি ভৃগু কুহার দুঃখের নাই অস্ত। ছিণ্ডিয়া ফেলিল জিহবা উপাড়িল দন্ত॥ প্রভুর লোচন বুদ্ধে চন্দ্রমার রক্ষা। (১) সভে মাত্র কণ্ঠপেরে করিলা উপেক্ষা॥ কগুপের নাহি চড় চাপড়ের অবস্থা। তপস্বী দেখিয়া না করেন দুরবস্থা ৷ শিবভক্তিপরায়ণ কশ্যপ আপনে। তেকারণে অবস্থা হইল নিবারণে॥ এইরূপ দূতগণ কালের আদেশে। কশ্বাপেরে বান্ধিয়া রাখিল দুই পাশে॥ চন্দ্রেরে বান্ধিয়া সেনাগণ পীয়ে মৃধা। সুধা সহ পিতৃগণ রহিলেন বান্ধা॥ যোড়হাত করিয়া যতেক গ্রহগণ। পশিল আসিয়া মহাকালের শরণ॥ স্তবেতে হইল মহাকালের আহলাদ। জয়যুক্ত হইয়া করয়ে সিংহনাদ॥ গলায় বিজয় মালা চক্র সুদর্শন। উৰ্দ্ধবাহু করি নাচে রুদ্র-সেনাগণ॥ যজ্ঞে সম্ভে করিলে শিবের ভাগ নাস্তি। তেঞি দেবী দেবীগণ পাও এত শাস্তি॥ কাটিল কবরী বেণী চূড়া আর খোপা। নাক কাণ ঠাই ঠাই দেখি ঝোপা ঝোপ। রামকৃষ্ণ দাস রচে মধুর ভারতী। ধ্যানেতে জানিলা ব্রহ্মা দক্ষের দুর্গতি॥ (১) শিব উদ্ধ লোচনে চন্দ্র ধারণ করিয়াছেন, এজন্য চন্দ্রকে রক্ষা করা হইল।