শিবায়ন—রামেশ্বর ভট্টাচার্য্য—১৭৫০ খৃঃ। ᎼNᏬ☾ লম্বোদর বলে শুন নগেন্দ্রের ঝি। স্বপ হৈল সাঙ্গ আন আর আছে কি॥ দড়বড় দেবী এনে দিল ভাজা দশ। খেতে খেতে গিরিশ পাকের গান যশ॥ সিদ্ধি দল কোমল ধুতুরা ফল ভাজা। মুখে ফেলে মাথা নাড়ে দেবতার রাজা। উলুণ চর্ব্বণে ফের ফুরাল ব্যঞ্জন। এককালে শূন্ত থালে ডাকে তিন জন॥। চটপট পিশিত মিশ্রিত করি যুষে। বায়ুবেগে বিধুমুখী ব্যস্ত হয়ে আইসে। চঞ্চল চরণেতে নূপুর বাজে আর। রণ রণ কিঙ্কিণী কঙ্কণ ঝণৎকার। দিতে নিতে গতায়াতে নাহি অবসর। শ্রমে হৈল সজল কোমল কলেবর॥ ইন্দু-মুখে মন্দ মন্দ ঘর্ম্মবিন্দু সাজে। মৌক্তিকের পংক্তি যেন বিদ্যুতের মাঝে॥ খরবাদ্যে সুপদ্যে নর্তকী যেন ফিরে। মুরস পায়স দিল পিষ্টকের পরে॥ হর-বন্ধু অম্লমধু দিতে আর বার। খসিল কাচলি হৈল পয়োধর ভার॥ নাট পাট হাতে বাটা আলাইল কেশ। গব্য বিতরণ কৈল দ্রব্য হৈল শেষ॥ ভোক্তার শরীরে মূর্ত্তি ফিরে ভগবতী। ক্ষুধারূপ অন্তে কৈল শান্তিরূপে স্থিতি॥ উদর হইল পূর্ণ উঠিল উদগার। অবশেষ গণ্ডৰ করিতে নারে আর। হট করে হৈমবতী দিতে আনে ভাত। শার্দ্দল-কম্পনে (১) সভে আগুলিল পাত। যশস্বিনী ষোত্র জানি র্যাচে বারম্বার। ক্ষমা কর ক্ষেমঙ্করী ক্ষোভ নাহি আর॥ (১) “হাই দেয়ং হু হু দেয়ং দেয়ঞ্চ কর-কম্পনে। শির:-সঞ্চালনে দেয়ং ন দেয়ং ব্যাঘ্র-ঝম্পনে॥৯