শিবের গান-দ্বিজ কালিদাস–কালিকা-মঙ্গল—১৮শ শতাব্দী ৷ ১৩৭ ছত্রশালি জটাশালি জগন্নাথভোগ। জামাইলা দু জলারাঙ্গী জীবনসংযোগ। ঝিঙ্গাশালি বলাইভোগ ধুন্তা বিলক্ষণ। নিমুই নন্দনশালি রূপনারায়ণ॥ পাতসাভোগ পায়রারস পরম সুন্দর। পিপীড়াবাক তিলসাগরী কৈল তারপর॥ বাকশালি বাকইবুয়ালি দাড়বঙ্গী। বাকচুর বুড়ামাত্র রামশালি রাঙ্গী। রাঙ্গামেটে রামগড় রঞ্জয় করি। পুণ্যবতী ধান্য রাখে নাম ধরি ধরি। লক্ষ্মীপ্রিয় লাউশালি লক্ষ্মীকাজল। ভোজনা ভবানীভোগ ভুবন উজ্জল॥ সীতাশালি শঙ্করশালি শঙ্কর জট। এই মত আর কত হৈল ধান্য ঘট॥ (১) লক্ষ নাম লক্ষ্মী হয়ে কৈল লোকহিত। কত নাম কব তার কহিল কিঞ্চিৎ॥ পাংশুধারী পশ্চাৎ পার্ব্বতী কন কি। প্রকাশিলা পূর্ণ কলা পর্ব্বতের বি ৷ শিবের গান। দ্বিজ কালিদাস–কালিকা-মঙ্গল–১৮শ শতাব্দী। শিবের সন্ন্যাসি-বেশে গৌরীকে ছলনা। [ব্রহৎ গ্রন্থ। রচনা সরস ও প্রাঞ্জল; রচনা দৃষ্টি মনে হয় ভারতচন্দ্রের কালিকা-মঙ্গল রচিত হওয়ার অব্যবহিত পরে এই পুস্তক রচিত হইয়াছিল। কবি গার্হস্থ্য চিত্র অঙ্কন করিতে পটু ৷ ] আজানু-লম্বিত জটা কপালে রুধির-ফোট কধিরের অৰ্দ্ধচন্দ্র ভালে। পূলে ফেলে বাঘাম্বর পরিলেন রক্তাম্বর রুদ্রাক্ষের মালা পরে গলে॥ (১) এই নামগুলির সঙ্গে ১১৬ পৃষ্ঠায় প্রদত্ত শূন্ত-পুরাণের ধান্তের নামের তুলনা করুন।