ᎼᎼb~ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। রন্ধনের কাজ থাকুক ভোজনের কথা। বারমাসি বেগুণেতে শৌল মৎস্তের মাথা॥ দুই তিন আনাজ করিয়া ভাগ ভাগ। থোড় দিয়া ইচার মুণ্ড মূল দিয়া শাক। জীর মরিচ রান্ধনী বাটিয়া করে মিল। মসল্লা বাটিতে হাতে তুল্য নিল শিল। মাংসেতে দিবার জন্ত ভজে নারিকেল। ছাল খসাইয়া রান্ধে বুড়া খাসির তেল ৷ ছাগমাংস কলার মূলে অতি অনুপম। ডুম ডুম করি রান্ধে গাড়রের চাম। একে একে যত ব্যঞ্জন রান্ধিল সকল। শেীল মৎস্ত দিয়া রান্ধে আমের অম্বল ৷ মিষ্টান্ন অনেক রান্ধে নানাবিধ রস। দুই তিন প্রকারের পিষ্টক পায়স॥ দুগ্ধে পিঠা ভালমত রান্ধে ততক্ষণ। রন্ধন করিয়া হৈল হরষিত মন॥ বেলা অবসান হৈল উদিত শশধর। ঢাকা দিয়া অন্ন ব্যঞ্জন এড়িল সত্বর॥ ভোজন করিতে আসিল চান্দ সদাগর। আপনে বসিল মধ্যে রাজা চন্দ্রধর॥ সম্মুখে সুবর্ণ থাল বসিলা দিব্য পাটে। সোণকা বসিল গিয়া চাদের নিকটে॥ সারি দিয়া বসিল ছয় সহোদর। যেন তারাগণে বেড়িল শশধর। ছয় পুত্র লৈয়া চাদ করএ ভোজন। একে একে থাইল অন্ন যতেক ব্যঞ্জন॥ পরিপূর্ণ ভোজন করিয়া সর্ব্বজন। পিতলের ডাবরে করিল আচমন॥ রজত পাদুকায় চাদ দিলেন চরণ। বিনোদ-মন্দিরে গিয়া করিলেন শয়ন॥ হাস পরিহাস করে সবে হরষিতে। যতনে তাত ব্যঞ্জন থুইল হাড়ীতে॥ আপন বাসরে গেল ভাই ছয় জন। যার যেই নিজস্থানে করিল গমন॥