মনস-মঙ্গল—রামবিনোদ–১৭শ শতাব্দী। ২৯১ গাথিয়াছি এহি মালা সুগন্ধি রচিত। পাচ কাহন কড়ি মূল্য মালার উচিত। শিষ্য সবে বোলে তবে শুনএ মালিনী। কোন দ্রব্য আমরা নগরে নাহি কিনি ৷ গুরুর প্রসাদে আমরা নগরে বাজারে। লুটিয়া সকল দ্রব্য খাই বলে ছলে। নগরে জিজ্ঞাসি চাহ প্রতি কোণে কোণে। না দিলেহ মালা কাড়ি নিব এই ক্ষণে॥ দেবী বোলে মাগিয়া বেড়ায় ঘরে ঘরে। তোমারগো বনিতা সবে আর্য (১) কষ্টে মরে॥ ঘরে ভাত নাই মালা কিনিবা কেমতে। কোন বলে চাহ আমার মালা কাড়ি নিতে॥ এই মিথ্যা বাক্য তোরা কহ কি লাগিয়া। কার শক্তি নিবে মালা বিনে কড়ি দিয়া॥ পাটের রাজা আছে মোর বসন্ত কেদার। তাহার প্রসাদ মোর ডর আছে কার॥ এত দৰ্প করহ হইয়া সপ-ওঝা। সকল মরিবি তোরা শুনিলে মোর রাজা॥ কার শক্তি আছে মোর পসার লুটিতে। বসন্ত কেদার রাজা পাটেত থাকিতে॥ দেবীর বচনে শিষ্য ক্রোধ হইয়া মন। পসার লুটিয়া সবে নিলেক তত ক্ষণ ৷ কোপে মালিনী এ ফুল ফেলে আছাড়িয়া। মায়া পাতি কন্দে দেবী বিষাদ ভাবিয়া॥ কেনে আইলুম পসার লইয়া। সাপের বাঢ়য়া (২) হইয়া বল ছল করিয়া নিল মোর পসার লুটিয়া॥ সব শুনি লোক মুখে ফুল লৈয়া কৌতুকে বেচিবারে আইল কৌতুক। লাভের বাণিজ্যে আইল আসল পতিত হৈল ঘরে গিয়া কি বুলিবাক। (১) আর ও। (২) বেদে।