পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(( రి লক্ষ্মণের প্রতি তরণীসেনের উক্তি। লক্ষ্মণের প্রত্যুত্তর। যুদ্ধ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয় s রচনা দেখিয়া মনে হয় সপ্তদশ শতাব্দীতে এই রামায়ণ সঙ্কলিত হইয়াছিল। তরণীসেন বিভীষণের পুত্র, অথচ যুদ্ধকালে এ কথা রাম-লক্ষ্মণ প্রভৃতির নিকট সম্পূর্ণ গোপন রাখিয়াছিলেন। তরণীসেন পরম বৈষ্ণব ছিলেন, রামের সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া প্রাণ-ত্যাগ-পূর্ব্বক বৈকুণ্ঠ-লাভ করাই তাহার লক্ষ্য ছিল। এই জন্ত রাবণের আজ্ঞায় যুদ্ধ করিবার জন্ত সমর-প্রাঙ্গণে উপস্থিত হইয়াছিলেন। কুপিয়া তরণী বলে শুনহ লক্ষ্মণ। বয়সে ছাওয়াল তুমি কিবা জান রণ॥ আমার বাণে মেরু মন্দর নাহি ধরে টান। নিশ্চয় আমার বাণে হারাবে পরাণ॥ হেন বাণ দেখ আমার কাঞ্চন-রচিত। বুকে প্রবেশিয়া বাণ পিৰেক শোণিত॥ বাণ লৈয়া যাহ লক্ষ্মণ তেজ অহঙ্কার। পড়াছ আমার ঠাঞি না পাৰে নিস্তাৱ॥ আমার বাণে পরাভব দেব-দেৰ হৱ। কত বার জিনিয়াছি জেঠা ধনেশ্বর॥ লক্ষ্মণ বলেন বড়াই করিস নাই রণে। এক কথা বলি শুন বলে বুদ্ধগণে॥ ভক্ষণের প্রশংসা খাইয়া জিহ্বা করে। ভার্য্যার প্রশংস৷ সতী পতি-সাথে মরে॥ শস্তের প্রশংসা চাষা শস্তে আনে ঘরে। (১) বীরের প্রশংসা যদি জিনম্নে সমরে॥ আমাকে বলিস্ শিণ্ড আগু দেখ বীর। এখন আমার বাণে হইবে অস্থির॥ এত বল্য লক্ষ্মণ ধনুকে যুড়া বাণ। তরণীর অগ্রে সেহ হল্য খান খান॥ কোপেতে তরণী পুনঃ এড়ে তীক্ষ্ণ শর। লক্ষ্মণের সর্ব্বাঙ্গ বাণেতে জরজর॥ তথাচ লক্ষ্মণ বীর তিলেক না বেথে। নানা সন্ধি (২) বাণ মারে তরণীর বুকে॥ (১) শস্তঞ্চ গৃহমাগতম্। (২) কৌশলে।