d૧ઝ অগস্ত্য-অগ্রমে। বঙ্গ-সাহিত্য পরিচয়। কালজিত রাজা চলে সবার প্রধান। আপনে লক্ষ্মণ চলে হাতে ধনুর্ব্বাণ॥ প্রেমে পুলকিত অঙ্গ সুমিত্রী-নন্দন। পদভরে বসুমতী কাপে ঘনে ঘন॥ হৃদ-গঙ্গার পুরে যত করি বিচরণ। দেখিলেক অগস্ত্যের উত্তম আশ্রম॥ চতুর্দিকে রম্ভাবন মধ্যে মধ্যে ঘর। তথা বসি তপ করে মহামুনিবর। এক শত মুনি আছে তার পরিবার। দেখিয়া হইল ভয় সকল রাজার॥ ত্বরমাণে (১) জনাইল লক্ষ্মণ-গোচর। প্রণাম করিয়া কহে ষোড় করি কর। মুনির আশ্রম এক পাইল দরশন। লক্ষ্মণে বোলেন আঙ্গি করিব গমন॥। হনুমন্তে বোলে প্রভু আন্ধি যাই আগে। মোর পাছে আসিব যতেক বীরভাগে ৷ এ বলিয়া হনুমান সত্বরে চলিল। মুনির গোচরে গিয়া দরশন দিল। প্রণাম করিয়া বোলে বীর হনুমান। নিবেদন করি গোসাঞি কর অবধান॥ তোমার গোচরে আইল কুমার লক্ষ্মণ। আহ্মাকে পাঠাই দিল জানাইতে কারণ॥ উদেশিয়া যার পদ সদা কর ধ্যান। সাক্ষাৎ মিলিল আসি সেই ভগবান॥ মোর নাম হনুমন্ত পবন-নন্দন। শুনি হরষিত হৈল মুনি মহাজন। লক্ষ্মণ উদ্দেশে মুনি করিল গমন। হেন কালে যুবরাজ মিলে ততক্ষণ॥ হনুমন্তে চিনাইল কুমার লক্ষ্মণ। আশীর্ব্বাদ করিলেক মুনি তপোধন। করে ধরি আলিঙ্গন কৈল মহাশয়। ভক্তিভাবে পদধূলি লক্ষ্মণে যে লর॥ (১) ত্বরায় = শীঘ্র।