سراسر t) দেবীর ক্ষেপভ। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। কুপ-জল দিয়া যদি পাই গঙ্গাজল। শুক্তির বদলে দিয়ে পাই মুক্তফল। পাষাণ ব্যত্যয় দিয়ে স্পর্শমণি মিলে। এ সকলে হানি কি পরম লভ্য বলে ৷ রাবণ ত্যজিলে যদি রাম তুষ্ট হন। ইহা হত্যে লভ্য কিবা ত্রিভুবনে ধন॥ সংসারের পূজ্য যিনি পূজিবে তোমায়। এ আনন্দ পঞ্চমুখে বলা নাহি যায়। হরের বদনে হেন শুনি হৈমবতী। কোপ করি কন কিছু কাত্যায়নী তথি। ভক্তের বিপত্য হবে চিত্তে ভেদ হল্য। লোহিত লোচন পূর্ণ ঘর্ম্ম উপজিল। কলেবর থর থর কম্পিত অধর। মহাদেবে মহামায়া বলেন উত্তর॥ উগ্র হয়্যা উগ্রদেবে বলেন পার্ব্বতী। তোমাকে কথাকে মোর অসংখ্য প্রণতি॥ কি বল কাশীবিলাস এ অল্প দায় বটে। যে কথায় প্রাণ যায় হিয়া মোর ফাটে॥ দ্বিগুণ আগুন মোর উঠিল জলিয়া। সেবক-বধের কথা কর্ণেতে শুনিয়া॥ শুন ভূতনাথ এবে বলিব উচিত। ভূত ভবিষ্যতে হেন না দেখিয়ে রীত ৷ জনক জননী ভাবে ভজয়ে সেবক। যারে ভজে সে জানয়ে যেমত বালক॥ সেবক প্রভুতে হয় এমত সম্বন্ধ। ভক্তের উন্নতি হল্যে প্রভুর আনন্দ॥ দাসের দুৰ্গতি হল্যে স্বামী দুঃখ মানে। এইরূপ আচরণ করে ত্রিভুবনে॥ সে তুমি অখিল-স্বামী কি বল বচন। কৌশল করিয়া বুঝি বুঝ মোর মন॥ একবার শিব বলি যদি কেহ ডাকে। শূল ধরি শঙ্কটে সহায় হও তাৰে।