মহাভারত—ঘনশ্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী। ঘনতাম লিখিয়াছেন। বুদ্ধিমন্ত থান ঘনশুমের পিতা ছিলেন কি না বলা যায় না। প্রাচীন বঙ্গসাহিত্যে ‘বুদ্ধিমন্ত খা’ উপাধির অভাব নাই। সুতরাং এই বুদ্ধিমন্ত থা কে ছিলেন তাহ নির্ণয় করা দুরূহ। তবে ‘বুদ্ধিমন্ত খা’ উপাধি মোর পিতা ঘটোৎকচ তোহ্মার নন্দন। তোহ্মার কার্য্যে তেঁহি হারাইল জীবন॥ সহদেব সহিত অৰ্জ্জুন মহাবল। নৃপতিক রক্ষিয় থাকিব সকল। বৃষকেতু সঙ্গে তুঙ্গি রণে দেয় মতি। আনিব যজ্ঞের ঘোড়া অতি শীঘ্রগতি॥ সত্বরে চলহ না কর বিলম্বন। ঘোড়া কাঢ়িয়া আনিব ততক্ষণ॥ মেঘবর্ণ সঙ্গে যাইতে দিল অনুমতি। আনিব যজ্ঞের ঘোড়া অতি শীঘ্রগতি॥ তবে ব্যাস মুনিএ বুলিল নৃপতি। বিলম্বে কার্য্য নাহি চল মহামতি॥ রাত্রি কাল হৈল বেলি অবসান। আশ্রমেত যাইতে আন্ধি হউক সম্বিধান॥ এ বুলিয়া ব্যাস মুনি চলিল সত্বর। বাঢ়াইয়া দিলেন্ত নিয়া ধর্ম্ম নৃপবর॥ ঘনশ্যাম দাসের মহাভারত। দাস স্বীয় পরিবারবর্গের মঙ্গল-কামনায় এই কয়েকটি পদ কৃপাকর নারায়ণ ভকত জনায়। জৈমিনি ভারত পোথা এতদুরে সায়। হরিদাস সেনে কৃপা কর নারায়ণ। গৌবিন্দ সেনের মৃতে কর কৃপায়ণ॥ রাখিব অচল ভক্তি বুদ্ধিমন্ত থানে। কৃপা কর নারায়ণ দুর্ব্বাসা সেনে॥ সহ পরিবারে কৃপা কর শ্রীনিবাস। তোমার চরণে কহে ঘনতাম দাস॥ |, .