মহাভারত—রাজেন্দ্র দাস—১৬শ শতাব্দী। ు(ta শূদ্রের ব্রাহ্মণ সেবা জানিয় নিশ্চয়। নারী পুরুষ বিনে তপে মুক্তি না হয়। ব্রাহ্মণ তপস্বী যত কঠিন আচার। পতি বিনে নারীর যে গতি নাহি আর॥ রাজাত বিনয় করে তোর দিগে চাহি। বিচার করিলে তবে কিছু দোষ নাহি॥ শকুন্তলা পালিলেক মুনির বচন। ভক্তি করি বন্দিলেক রাজার চরণ॥ হাতে স্বর্গ পাইল হেন দুষ্মন্ত নৃপতি। চিরদিনে পাইল গিয়া নারী পুত্রবতী॥ ব্রাহ্মণী সকলে শুনি তুষ্ট হৈল মনে। আশীর্ব্বাদ রাজাকে করিল জনে জনে৷ শুধায়ে করিল তানে অনেক আদর। মান্ত গৌরবভাব করিল বিস্তর॥ নির্ব্বছিল নানা মত রহস্ত মাধুরী। নানা লীলা করিল বহু বচন চাতুরী॥ রাজা বলে প্রাণ-প্রিয়া কি বলিব সতী। বিবাহকাল হোতে জান অনেক পরিতি॥ দৈবে আপনা দোষে পাসরিল আহ্মি। তিলমাত্র অপরাধ না সম্বরিলা তুঙ্গি॥ আহ্মা ছাড়ি আইলা তুঙ্গি আমরা নগর। তোহ্মার আহ্মার মধ্যে পর্ব্বত সাগর। (১) যত তাপ দিলা তুহ্মি তার নাহি অন্ত। নির্ব্বহিল যত দুঃখ শোক বলবন্ত॥ তোহ্মা দরশনে আইলুম দেবের আলয়। মহামুনি কাগুপে করাইল পরিচয়॥ বুলিলা গৌরব হিত বাক্য বহুতর। তথাপি না ছাড়ে কেনে তোমার অন্তর॥ দাবানলে যাহার শরীর দাহএ। লবণ-মিশ্রিত-কটু দিতে না যুয়াএ। (১) আমাকে ছাড়িয়া তুমি স্বর্গে আসিলে, এবং তোমার ও আমার মধ্যে পর্ব্বত ও সাগরের ব্যবধান হইল। krలి