ভাগবত—শু্যামদাস–১৬শ শতাব্দী। দেখিয়া বিস্ময়-মতি অখিল ভূবনপতি মধু দৃষ্টে করে নিরীক্ষণ ৷ কৃষ্ণের অমিয়া-দিঠে বালক সকল উঠে কাচা ঘুমে যেন জীয়াইল। উঠিয়া চৌদিকে চাই আলস্তে ছাড়িল হাই আখি মেলি গোবিন্দে দেখিল ৷ জীয়ায়ে বালকগণে শ্রীকৃষ্ণ ভাবিল মনে হেন জল আছে যমুনায়। গরল জলের মাঝে দুর্জয় ভূজঙ্গ আছে নীর মধ্যে না রাখিব তায়॥ দেবতা কিন্নর নর দশ দিক্ চরাচর কেহ না করএ জলপান। দৈত্য দলিবার ভার হইয়াছি অবতার ভারাবতারণে ভগবান॥ এতেক ভাবিয়া মনে ব্রজের বালক সনে সঙ্গে করি লয়ে গেল ঘরে। গোবিন্দ-মঙ্গল পোথা ভুবনে দুর্লভ কথা শ্রীমুখ (১) নন্দন গায় সারে॥ শুন নৃপমণি পুরাণ-কাহিনী কৃষ্ণের বালক-খেলা। জীয়ায় বালকে ক্রীড়ায় কৌতুকে সে দিন মন্দিরে গেলা॥ রজনী-প্রভাতে ব্রজশিশু সাথে সাজিয়া সুন্দর শু্যাম। ধেনু লয়ে বনে গেল শিশু সনে গৃহে রাখি বলরাম॥ শিশু সঙ্গে কান্তু পুরে শিঙ্গা বেণু আগে চালাইয়া পাল। বিহরে নন্দ-দুলাল॥ (১) কবির পিতার নাম—শ্রীমুখ। སཾ།༤