পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՏ8 কৃষ্ণ-আদর্শনে বালকগণের ক্রনদন। গোবৎস ও অপর পশুপক্ষীর কাতরতা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। কমল-কেশর মাঝে দেখি নটবর রাজে বিষ ছাড়ে গোবিন্দের গায়॥ কৃষ্ণের লাগিল রঙ্গ ভুজঙ্গে জড়িত অঙ্গ দমন করিতে দুষ্ট কালি। শু্যামতনু সুধাময় জীব-ভয় তরে তায় ভুবন-পাবন বনমালী ৷ তারে কি করিবে ফণী কৌতুকে গোকুলমণি সৰ্প মধ্যে রহে নারায়ণে। না দেখি বালক যত হৈল যেন মৃত্যুবত - কান্দে সবে গোবিন্দের গুণে॥ ওহে প্রাণবন্ধু শুশম আজি বিধি হৈল বাম গোপপুরে হেন লখি (১) মনে। হেন বুদ্ধি দিল কেবা অনাথ করিয়া সব

  • কালিদহে বাপ দিলে কেনে॥

তোমার গুণের কথা ভাবিতে মরমে ব্যথা মরিব তোমারে না দেখিয়া। নন্দ আদি যশোমতী হইবেক আত্মঘাতী কেমনে সে বান্ধিবেক হিয়া॥ আমা সবা লয়ে সঙ্গে বনে কে আসিবে রঙ্গে ক্ষুধায় কে দিবে অন্ন পানী। দেখা দিয়া রাখ প্রাণ হেদে হে সুন্দর কান যশোদা-জীবন যাদুমণি॥ আজ তোমা না দেখিলে পশিব কালিন্দী-জলে ওই কালি থাউক সবারে। কান্দে গোবিন্দের মোহে সর্ব্বাঙ্গ তিতিল লোহে গড়াগড়ি যায় নদীতীরে॥ না দেখিয়া কালা কানু তৃণমুখে কানো ধেনু বাছুরি না করে পয়ঃপান। কালিদহে কৃষ্ণ দেখি উভমুখে কান্দে পার্থী বন জন্তু না ধরে পরাণ। (১) লক্ষ্য করি = অনুমান করি।