ভাগবত—নরহরি দাস–১৬শ শতাব্দী। b-> > বিস্ময় ভাবিয়া দেবী রহে সত্যভামা। রুক্মিণী জানেন কিছু তোমার মহিমা। কহিল রুক্মিণী দেবী সত্যভামা তরে। তুলসী মঞ্জরী দেহ ধনের ভিতরে। তবে সত্যভামা দেবী তুলসী আনিয়া। দিলেন মঞ্জরী তবে ধনে মিশাইয়া। রুক্মিণী জানেত প্রভু আপন অন্তরে। আপন মায়ায় ধন হৈল বরাবরে॥ তবেত নারদ মুনি নিবারণ হৈয়া। গেলেন আপন পুরী ধন রত্ন লৈয়॥ নরহরি দাসের ভাগবত। কেশব-মঙ্গল। শ্রনরহরি দাস কর্তৃক অনুদিত। দেড়শত বৎসরের পুথি হইতে উদ্ধৃত হইল। পুথি খানি ৬১২ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ। বলরাম কর্তৃক প্রলম্ব-বধ ও শ্রীকৃষ্ণের দাবাগ্নি-নিবারণ। কেহ কেহ বলে ভাই গোঠে কি যাইব। যে দেখি যে কোন দিন পরাণ হারাব॥ ছিদাম সুবল বলে কি বলিস ভাই। কি ভয় সঙ্গেতে যার কানাই বলাই ৷ বালকগণের ভরসা। কত কত উপদ্রব হয় দিনে দিনে। কি করিতে পারে ভাই কানাঞের গুণে॥ কানু সঙ্গে গোঠে মাঠে যে আনন্দ পাই। ঘরেতে থাকিলে সে আনন্দ পাই নাই ৷ কেহ যদি গোঠে যেতে মুখ মোড় (১) ভাই। বলাই দোহাই তোরে বলাই দোহাই॥ (১) বিমুখ হয় = অস্বীকৃত হয়।