ভাগবত—নরহরি দাস—১৬শ শতাব্দী। b*లి) জরাসন্ধ কহে শুন আর কেবা হবে। নবনী-চোরার কার্য্য জানিলাম ইবে॥ গোপনারী সঙ্গে সদা করিত বিহার। অদ্যাবধি না ঘুচিল স্বভাব তাহার। স্বভাব যাহার যেই না হয় খণ্ডন। রাজগণের যুদ্ধ-যাত্র। জানে নাই এখানে সব কালাস্তের যম॥ বেড়েছে বুকের পাট করে ননী চুরি। আজি ভাঙ্গি দিব তার সব ভারিভুরি॥ এত বলি দুষ্ট পক্ষগণ সবাহনে। শীঘ্রগতি ধায় হস্তে করি শরাসনে॥ রুক্মিণী-হরণ-কথা অতি সুমধুৰ। শ্রবণে আনন্দ হয় কলুষ আদি দূর॥ শ্রীমদ্ভাগবত-কথা ব্যাসের বর্ণিত। কহে নরহরি দাস শ্রীকৃষ্ণ-চরিত॥ শুকদেব- নে পুছে উত্তরা তনয়। কি কর্ম্ম করিল। তবে দুষ্ট পক্ষচয়॥ রুক্মিণী সহিত কি করিলা ভগবান। কহ কহ মুনিরাজ না কর বিশ্রাম॥ মুনি কহে পরীক্ষিত করহ শ্রবণ। কৃষ্ণ-পাশে ধায় যত বিপক্ষের গণ॥ দুষ্টের দমন লাগি চিন্তিলা ঠাকুর। কৃষ্ণেরে ঘেরিল সৈন্ত হয়্যা শতপূৱ॥ রথ গজ তুরঙ্গেতে যোদ্ধাপতিগণ। ধনু টঙ্কারিয়া করে বাণ নিক্ষেপণ॥ মার মার ধর ধর এই মাত্র ধ্বনি। কেহ কৃষ্ণে গর্জিয়া কহেন কটু বাণী॥ মনেতে করেছ লয়ে যাব রাজ-স্ত্রতা। আজি বড় তব পর পড়িল বিতথা (১)॥ যদি মনে বাঞ্ছা কর আপন কল্যাণ। কন্তা রাখি প্রাণ লয়ে দেহ ভঙ্গিয়ান॥ (১) বিপদ।