ভাগবত-নরসিংহ দাস—১৭শ শতাব্দী। brQ > হংসদূত-কথা ভাই কেবল বিরহের শোকে। দাস গোস্বামী ইথে করিলেন শ্লোকে॥ সেই ভ্যাম বন্ধু বিনু বনবাসী হনু। হৃদয়ে জাগিছে সেই শুাম-রূপগুণ॥ মধুমাস পেয়ে তরুগণ বিকশিত। নূতন পল্লবে বন অতি স্থশোভিত। কাঞ্চন পলাশ ফুল নানা জাতি যুথী। চম্পক নাগেশ্বর আর পুষ্প নানা জাতি॥ নানা জাতি পুষ্পে বন হইয়া বিকশিত। ভ্রমর বুলয়ে তাথে হুয়া আনন্দিত॥ সকল বিরহিগণ হইয়া নম্রবান। মন্দ মন্দ মকরনদ সদা করে পান॥ মলয় পবন বহে অতি সুশীতলে। নানা পুষ্পে অলিগণ মধু খায়্যা বুলে। দেখি সর্থীগণ সব করি অনুমানে। এক কথা কহি সখি যদি লয় মনে॥ হেন কালে ভৃঙ্গ উঠি অন্ত বনে গেল। অকস্মাৎ আসি তথা মেঘ উপজিল॥ তাহা দেখি ময়ুর ময়ুরী নৃত্য করে। দুহে দুহা প্রেমে মাতি আপনা পাসরে॥ ময়ূরের নৃত্য দেখি বলে গোপীগণে। বিরহ বাঢ়ল গোপীর কৃষ্ণ পড়ে মনে॥ হা কৃষ্ণ হা প্রাণনাথ বড় নিদারুণ। তোমার কারণে মোরা ফিরি বনে বন॥ আমরা অবলা জাতি তাহে বিরহিণী। তোমার বিচ্ছেদে দেহে না রহে পরাণী॥ মেঘের বরণ দেখি কালে গোপীগণ। চক্ষু মেলি না দেখিব কালিয়া-বরণ॥। হেন কালে কোকিলের শব্দ আচম্বিতে। শুনিএ রাধিক দেখি হইল৷ মুছিতে | শ্রীমতীর মুচ্ছ। চতুর্দ্দিগে বেঢ়ি সর্থী আকুলিত হৈয়া। কেহো জল আনি দিছে মুখেতে ঢালিয়া॥