ভাগবত—নরসিংহ দাস—১৭শ শতাব্দী। b-ta কথন গোপিকা বৈসে কভু শুাম রায়। চৌদিগে বেড়িয়া গোপী পঞ্চরস গায়॥ সেইত শ্রাবণ মাসে শোকেতে নিদান। আমা সভার প্রাণ হর্যা লয়্যা গেল শুাম॥ ভাদ্র মাসের মুখ কি কহিব আর। যমুনার তীরে নাথ করিতাঙ বিহার॥ একদিন মোরা সব করি অনুমান। বড়াই প্রমাণ করি সাধি নিজ কাম॥ মাধবী তরুর তলে লয়্যা গুণমণি ৷ সদাই আনন্দে থাকি কিছুই না জানি॥ সেইত ভাদর মাস পাপ হৈল মোরে। সব মুখ দূরে গেল কৃষ্ণ নাই ঘরে। আইল আশ্বিন মাস শরৎ সময়। একদিন বিকে যাই তেজি কুলভয়॥ রাধা আদি গোপী বড়াই সঙ্গেতে করিয়া। যমুনার কুলে সভে উত্তরিলা গিয়া॥ যমুনা গভীর দেখি প্রাণ র্কাপে ডরে। চল চল আগে সই ফির্য যাই ঘরে॥ গোঠে থাকি কৃষ্ণচন্দ্র জানিলা কারণ। নৌকা লঞা গোঠ হতে দিলা দরশন॥ একে একে গোপীরে যমুনা কৈল পার। আমা সভা দয়া করি হৈল কর্ণধার॥ এমন পীৱিতি ওরে সেই গেলা ছাড়ি। শূন্ত হৈল ব্রজের অভাগী গোপনারী॥ যমুনার জলে যাত্যে যেঞি মনে পড়ে। এ সব সংবাদ হংস কহিও বন্ধুরে॥ আইল কার্ত্তিক মাস পুণ্যের সময়। শরৎ পূর্ণিমাশশী হইল উদয়। বৃন্দাবনের নিকুঞ্জে অতি রম্যস্থানে। মুরলীতে ডাকে শুাম ধরি রাধা নামে॥ রহিতে না পারি ঘরে গেলাঙ সেই স্থানে। একে একে জড় হৈলাঙ সব গোপীগণে॥ ծ օԵ,