বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:অন্ধকূপ-হত্যা-রহস্য - মুজিবর রহমান.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ (ক) সামরিক কাগজপত্রে ৫ হইতে ৬ শত জন সৈন্য থাকিবার কথা, কিন্তু কার্য্যক্ষেত্রে দেখা গেল যুদ্ধোপযােগী ২৫০ জন সৈন্যের অধিক সংগ্রহ হইল না। (খ) তিনি প্রথম পত্রে বলিতেছেন যে, সামরিক সভায় কোম্পানীর কাগজ পত্রগুলি নৌকায় লইয়া যাওয়া হয় । কিন্তু ২য় পত্রে তাহা তিনি অস্বীকার করিতেছেন। এরূপ অস্বীকার করিবার কারণ কি? (গ) তিনি প্রথম পত্রে বলিতেছেন যে, তিনি এবং তাহার সহকমি গণ জানিতে পারেন নাই যে, নবাব স্বয়ং কলিকাতা আসিতেছেন ; কিন্তু তিনি ৩য় পত্রে বলিতেছেন, ওয়াটস্ ও কোলেট সাহেবের পত্রে তাহারা নিশ্চিতভাবে জানিতে পারিয়াছিলেন যে, নবাব স্বয়ং ৫০ সহস্র সৈন্যসহ কলিকাতা অভিমুখে যাত্রা করিতে মনস্থ করিয়াছেন। (৬) তিনি ১ম পত্রে বলিতেছেন যে নবাবের আদেশে সৰ্বসমেত ১৬৫ হইতে ১৭০ জন ইংরাজ অন্ধকূপে আবদ্ধ হইয়াছিল এবং উহাদের মধ্যে পরদিন প্রভাতে মাত্র ১৬ জন জীবিত ছিল ; অবশিষ্ট বন্দিগণ শ্বাসরুদ্ধ হইয়া অন্ধকূপে প্রাণত্যাগ করে ; কিন্তু ২য় পত্রে তিনি বন্দিগণের সংখ্যা ১৬৫ হইতে কমাইয়া ১৪৬ করিতেছেন এবং তন্মধ্যে ১২৩ জন অন্ধকূপে প্রাণত্যাগ করে এবং বাকি ২৩ জন জীবিতাবস্থায় বাহির হয়। ৪র্থ পত্রে তিনি ‘মিসেস কেরী’ নাম্নী একজন ইংরেজ মহিলা এবং লিচ” নামক একজন ইংরাজকে বন্দিগণের দলভুক্ত করিয়া মিসেস কেরীকে জীবিত ব্যক্তিগণের তালিকাভুক্ত করিয়াছেন। (চ) তাঁহার ৪র্থ পত্র অনুসারে অন্ধকূপটার আয়তন ১৮ বর্গ ফুট এবং তাহাতে তিনি ১৭০ হইতে ১৪৬ জন বন্দীর স্থান করিতেছেন। (ছ) ৪র্থ পত্র পাঠে মনে হয় যে নবাব সন্ধ্যা ৭টার সময় দরবারে

  • 'এ

মন