মানুব-দেখিবার জন্য পিতা কর্তৃক প্রেরিত হইলেও কাজকর্ম সে কিছুই দেখে DS BBuBDBD DS DD BDBBDBD DBDB BD D DBDBDB iD DBSS BE একটি বন্দুক আনিয়াছে, শিকারের ঝোঁক খুব। নীরেন উপরে নিজের ঘরে ঢুকিয়া গিয়া দেখিল, গোকুলের স্ত্রী ঘরের মেঝেতে বসিয়া পড়িয়া মেঝে হইতে কি খুঁটিয়া খুঁটিয়া তুলিতেছে। দোরের কাছে। যাইতেই তাহার নজর পড়িল, তাহার দামী বিলাতী আলোটা মেঝেতে বসানো। উহার কাচের ডুমটা ভাঙিয়া চুরমার হইয়াছে, সারা মেঝেতে কঁাচ ছড়ানো। দোরের কাছে জুতার শব্দ পাইয়া গোকুলের স্ত্রী চমকাইয়া পিছন ফিরিয়া চাহিল, সে আঁচল পাতিয়া মেঝে হইতে কঁাচের টুকরাগুলি খুটিয়া খুঁটিয়া তুলিতেছিল,-ভাবে মনে হয় প্রতিদিনের মত ঘর পরিষ্কার করিতে আসিয়া আলোটি জালিতে গিয়াছিল, কি করিয়া ভাঙিয়া ফেলিয়াছে, এবং আলোর মালিক আসিবার পূর্বেই অপরাধের চিহ্নগুলি নিজেই তাড়াতাড়ি সরাইয়া ফেলিবার চেষ্টায় ছিল। হঠাৎ বামাল ধরা পড়িয়া অত্যন্ত অপ্রতিভ হইল । ক্ষতিকারিণীর লজার ভারটা লঘু করিয়া দিবার জন্যই নীরেন হাসিয়া বলিয়া উঠিল--এই যে বৌদি, আলোটা ভেঙে ব’সে আছেন বুঝি ? এই দেখুন ধরা প’ড়ে গেলেন, জানেন তো আইন পড়ি। আচ্ছা এখন একটু চা ক’রে নিয়ে আসুন তো বৌদি। চাটু করে, দেখি কেমন কাজের লোক। দাড়ান আলোটা জেলে নিই, ভাগ্যিস বাক্সে আর একটা ডুম আছে। গোকুলের স্ত্রী। সলজ্জ সুরে বলিল, দেশলাই আনবো ঠাকুরপো ! নীরেন কৌতুকের সুরে বলিল-দেশলাই আনেন নি। তবে আলো পেড়ে কি করছিলেন শুনি ? বধু এবার হাসিয়া ফেলিল, নিম্নম্বরে বলিল-স্কুল পড়ে রয়েচে, ভাবলুম একটু মুছে দিই, তা যেমন কঁচটা নামাতে গেলাম কি জানি ও সব ইংরেজি কলের আলো-কথা শেষ না করিয়াই সে পুনরায় সলজ হাসিয়া নীচে পলাইল। নীরেন। দশ বারো দিন আসিয়াছে বটে, সম্পর্কে বৌদিদি হইলেও গোকুলের স্ত্রীর সঙ্গে তাহার বিশেষ আলাপ হয় নাই। কঁাচ ভাঙার সন্ধ্যা হইতে কিন্তু উভয়ের মধ্যে নূতন পরিচয়ের সঙ্কোচটা কাটিয়া গেল। নীরেন অবস্থাপন্ন পিতার পুত্র, তাহার উপর বাংলাদেশের পাড়াগায়ে এই প্রথম আসা, নিঃসঙ্গ আনন্দহীন প্রবাসে দিনগুলি কাটিতে চাহিতেছিল না। সমবয়সী বৌদির সহিত পরিচয়ের পথটা সহজ হইয়া যাওয়ার পর হইতে সকাল-সন্ধ্যায় চা-পানের সময়টি, সহজ আদান-প্রদানের মাধুর্যে আনন্দপূর্ণ হইয়া উঠিল!-- দুপুরে সেদিন দুৰ্গা বেড়াইতে আসিল। রান্নাঘরের দুয়ারে উকি মারিয়া R O
