পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৩৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'অপরাজিত পঞ্চম পরিচ্ছেদ বাডিতে অপু মায়ের সঙ্গে পরামর্শ করিল। কলিকাতায় যদি পড়িতে যায় স্কলারশিপ না পাইলে কি কোন সুবিধা হইবে ? সবজয়। কখনও জীবনে কলিকাতা দেখে নাই-সে। কিছু জানে না। পড়া তো অনেক হইয়াছে আব পড়ার দরকার কি ?--অপুর মনে কলেজে পড়িবার ইচ্ছা খুব প্রবল। কলেজে পড়িলে মানুষ বিদ্যার জাহাজ হয় । সবাই বলিবে কলেজের ছেলে । মাকে বলিল-না-ই যদি স্কলারশিপ পাই, তাই বা কি ? এরকম ক’রে হয়ে যাবে-রমাপতিদা বলে, কত গরীবের ছেলে কলকাতায় পডচে, গিয়ে একটু চেষ্টা করলেই নাকি সুবিধা হলে যাবে, ও আমি ক’বে নেবো মা কলিকাতায় যাইবার পূর্বদিন রাত্রে আগ্রহে উত্তেজনায় তাহার ঘুম হইল না। মাথার মধ্যে যেন কেমন কবে, বুকের মধ্যেও । গলায় যেন কি আটকাইয়া গিয়াছে। সত্য সত্য সে কাল এমন সময় কলিকাতায় বসিয়া আছে । • • • কলিকাতায় ! • • • কলিকাতা সম্বন্ধে কত গল্প, কত কি সে শুনিয়াছে। অতবন্ড শহ’ব আর নাই। কত কি অদ্ভুত জিনিস দেখিবাব আছে, বড় বড় লাইব্রেবী। আছে সে শুনিয়াছে, বই চাহিলেই সেখানে বসিয়া পন্ডিতে দেয । বিছানায় শুইয়া সারারাত্রি ছটফটু করিতে লাগিল । বাডিবা পিছনের তেঁতুল গাছের ডালপালা অন্ধকাবকে আবও ঘন করিয়াছে, ভোর আব কিছুতেই হয় না। হয়ত তাহার কলিকাতা যাওয়া ঘটবে না, কলেজে পড়া ঘটিবে না, কত লোক হঠাৎ মারা গিয়াছে, এমনি হয়ত সেও মবিয়া যাইতে পারে। কলকাতা না দেখিয়া, কলেজে অন্তত কিছুদিন পড়াব আগে যেন সে না মরে -দোহাই ভগবান । কলিকাতায় সে কাহাকেও চেনে না, কোথায় গিয়ে উঠবে ঠিক জানা নাই, পথঘাটও জানা নাই। মাসকতক আগে দেবব্রত তাহাকে নিজের এক মেসোমশাইয়ের কলিকাতার ঠিকানা দিয়া বলিয়াছিল, দরকার হইলে এই ঠিকানায় গিয়া তাহার নাম করিলেই তিনি আদর করিয়া থাকিবার স্থান দিবেন। ট্ৰেনে উঠিবার সময় অপু সে-কাগজখানা বাহির করিয়া পকেটে রাখিল। রেলের পুরানো টাইমটেবলের পিছন হইতে ছিাড়িয়া লওয়া একখানা কলিকাতা শহরের নক্সা তাহার টিনের তোরঙ্গটার মধ্যে অনেকদিন আগে ছিল, সেখানাও यांश्द्धि कब्रिों जिन।