পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

BDB BB DBBDBD BBD DS BBSLDD D SLBDBDDD DS SS SDBDBBD প্রতিজ্ঞ, অনেক পত্র লিখিবার প্রতিশ্রুতি, অনেক চোখের জলের মধ্য দিয়া * তাহারা মাঝেরপাড়া স্টেশনে পৌঁছিয়া গেল । ট্ৰেনে উঠিয়া কাজল বলিল-একটা কথা বলব বাবা ? -क् ि। -আমরা মালতীনগরে যাচ্ছি, না ? -ईg! ! -সেখানে থাকতে কেমন লাগবে বাবা ? কঠিন প্রশ্ন। অপু জানলা দিয়া বাহিরে তাকাইয়া রৌদ্রদগ্ধ প্রান্তর দেখিতে দেখিতে উত্তর খুজিতে লাগিল। কাজল তৃতীয় পরিচ্ছেদ মালতীনগর জায়গাটা কাজলের খুব খারাপ লাগিল না। ঘনবসতি সে ভালবাসে না, মালতীনগরে তাহা নাই। বাবা ষে বাসা ভাড়া লইয়াছে সেটা শহরের অপেক্ষাকৃত কঁাকা জায়গায়। জানালায় দাড়াইলে অনেক দূর দেখা যায়, দৃষ্টির কোন প্রতিবন্ধক নাই। একটা জানলা আর মুক্ত আকাশ কাজলের অত্যন্ত প্রয়োজন। । ‘রর আকাশে চিল ওড়া দেখিয়া সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাইয়া দিতে পারে। তাই জানলা একটা অবশ্যই দরকার প্রান্তরের দিকে। সে যে শুধু চিল দেখিবার জন্যই দাড়াইয়া থাকে। এমন নহে। আসলে চিলগুলি উঠিতে উঠতে যখন বিন্দুবৎ হইয়া আসে তখন কাজলের মনটা হঠাৎ বিপুল একটা প্রসার লাভ করে। মনে মনে রোজ ভাবে-বাব্বা,-কোথায় উঠে গিয়েছে চিলগুলো, এই এতটুকু দেখাচ্চে একেবারে! আচ্ছা, ওখান থেকে না-জানি পৃথিবীটা কেমন দেখায়। সুদূরের কল্পনা তাহার শিশুমানে স্বপ্নের রঙ বুলাইয়া দেয়। আরও কি-একটা মনের মধ্যে হয়, সে ঠিক বুঝাইয়া উঠিতে পারে না, সেটা বুঝাইবার উপযুক্ত ভাষা তার আয়ত্তে নাই। দূরের কথা ভাবিলে দুপুরের জানালায় বসিয়া মেঘস্পর্শী পাখী দেখিলে তাহার বুকের গভীরে কি-একটা কথা গুমরাইয়া উঠে, সে তাহা ভাষায় অনুবাদ করিতে পারে না। একদিন অপু বাহির হইতে আসিয়া কাজলকে জানলায় দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিয়াছিল--কি রে, কি দেখছিস ইা করে ? ngandhudhulula