পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৭২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্বশুর-শাশুড়ী নিয়ে ঘর করবো। তাদের আশীৰ্বাদ যেন পাই । কাজলকে যেন মানুষ করে তুলতে পারি। ব্যাপারটা আদৌ নাটকীয় হইল না। বরং হৈমন্তীর সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করিবার মধ্যে অপু অনেক কিছু দেখিতে পাইল । সকাল হইতেই নানা মিশ্র অনুভূতিতে তাহার বুক ভরিয়া উঠিতেছিল। বৌ লইয়া জঙ্গলাকীর্ণ ভিটার সামনে দাড়াইয়া তাহার মনে হইল মায়ের স্নেহ বাবার আশীৰ্বাদ যেন তাহদের দুইজনকে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। এতদিন বাদে অতীতের দিনগুলির সহিত যেন একটা যোগাযোগ স্থাপিত হইল । রাণুপিসি নানা কাজে ব্যস্ত ছিল, তাহাকে বলিয়া কাজল বেড়াইতে বাহির হইল। রাণী বলিয়া দিল---বেশী দেৱী করিসনে, দূরে যাস নে। গ্রামের প্রান্তে যে মাঠ আছে, তাহার আল ধরিয়া পড়ন্ত বেলায় হঁটিতে কাজলের খুব ভাল লাগে। মাঠের দূরে দূরে লোক থাকে, অধিকাংশ সময়েই DD DDBDBS SBDDD DBDBBDD DBDDDB DBBDBDBB BBB SBDDB BBDB হিসাবে এই ফঁাকা মাঠ ও বন্য ঝোপ তাহার মনে আধিপত্য বিস্তার করে । দক্ষিণ-আফ্রিকার প্রচণ্ড গরমে মরুভূমির ভিতর হীরকসন্ধানী দুইটি দলের মধ্যে ষে ভীষণ সংঘর্ষ হইয়াছিল, এই মাঠে সে তাহা প্রত্যক্ষ করিতে পারে। দক্ষিণআফ্রিকার গরমের সহিত সংগতি রাখিবার জন্য সে হাতের উলটা পিঠি দিয়া শক্ত অ্যালের উপরকার উত্তাপ অনুভব করে । মনে মনে ভাবে, আফ্রিকার মরুভূমির বালিও এমনি গরম। বাবার কাছে গল্প শুনিয়া সে লক্ষ্য করিয়াছে, যাবতীয় রোমাঞ্চকর ঘটনা আফ্রিকাতেই ঘটিয়া থাকে । আফ্রিকা তাহার কাছে রহস্যের দেশ। বড় হইলে সে আফ্রিকায় যাইবে, বাওবার গাছ ( বাবার কাছে নাম শুনিয়াছে) দেখিবে । সূর্য দিগন্তরেখা স্পর্শ করিয়াছে। কাজল তাকাইয়া দেখিল মন্ত লাল সূর্যটা আন্তে আস্তে দিগন্তের নিচে নামিয়া পড়িতেছে। ততক্ষণে একটু ঠাণ্ডা বাতাস ছাড়িয়াছে। আলের পাশে ছোট ছোট ঝোপের মধ্য দিয়া হালকা শব্দ তুলিয়া হাওয়া বহিতেছে। কেহ কোথাও নাই। যতদূর দৃষ্টি যায়, উদার বিশাল মাঠ পড়িয়া আছে। বিকালে কেমন-একটা ছায়া-ছায়া ভাব নামিতেছে। বাতাসের অদ্ভুত শব্দ। এর মধ্যে একলা দাড়াইয়া থাকিবার যে একটা DDDDuDBDu DBBDDDS DBDS DBDB DDBDBD BDDDD DBDBB SS SD BDB BBBS একটা অচেনা অনুভূতি। এই সময় দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণে বাড়ি হইতে দূরে মাঠের ভিতর পৃথিবীটাকে যেন অচেনা বোধ হয়। ফিরিবে বলিয়া ঘুরিয়া দাড়াইতেই কাজলের সেই লোকের সহিত দেখা SS