পাতা:অপু-পথের পাঁচালী-অপরাজিত.pdf/৮১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

LSYYEJD DDDDD TiDiBD DBDB DB BLB EDD BBBS প্রথম দিকে কাজল কলিকাতায় বিশেষ-কিছু অস্বাভাবিকতা দেখে নাই। BD D BDD DBBD DDBS DBDB BuBD BB DDD BD S LHHLLS খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বরে জাপান হঠাৎ পার্ল হাববার আক্রমণ করায় আমেরিকা যুদ্ধো নামিল। ইহাব কিছুদিন বাদে ব্রহ্মদেশের পতন হওয়ায় ভারতবর্ষ অনুভব করিল, বিপদ একেবারে ঘাড়ের উপর আসিয়া পডিয়াছে। শুরু হইল বাক্সবিছানা ঘাডে গ্রামেব দিকে সদলে পলায়ন । তাড়া-খাওয়া প্রাণীর মত অবস্থা । অনেক সময় কাজলেব ক্লাস কবিতে ভাল লাগিতা না । পরমেশের সঙ্গে রাস্তায় ঘুরিতে ঘুবিতে তাহার মনে হইত, মানুষ খামাক যুদ্ধ করে মরছে। কেন ? এমনিই তো মরবে। ক'দিন বাদে । সে বলিত-পরমেশ, যুদ্ধ বন্ড বিভৎস আর অর্থহীন, না ? —হয়তো তাই, কিন্তু যুদ্ধেরও অনেক সৃষ্টিশীল দিক আছে। কলকারখানা বাড়ছে, নতুন-নতুন আবিষ্কাব হচ্ছে! কত প্রথম শ্রেণীর সাহিত্য সৃষ্টি হবে। হয়তো পরে ৷ প্রথম মহাযুদ্ধের ফসল। যেমন রেমার্ক রুপার্ট ক্রক —ভালো সাহিত্যের জন্য, নতুন আবিষ্কাবের জন্য কি মানুষ মারতে হবে ? পরমেশ হাসিল। বলিল-তুমি নিজেই বলে থাকো জীবনের কোন অর্থ হয় না, জীবনটা দীর্ঘ দিন ধরে ক্লান্ত হবার একটা পন্থা মাত্র। মানুষের জীবন থাকলো কি গেল, তাতে তোমার দুঃখিত হবার কাবণ নেই। কাজল ভাবিয়া দেখিল, পরমেশ ঠিকই বলিয়াছে। তাহার দর্শন অনুযায়ী যুদ্ধে মনমরা হইবার কারণ নাই । অথচ এ কথাও ঠিক যে, সে হাপাইয়া উঠিয়াছে। কলিকাতার আলোকহীন নিম্প্রাণ সন্ধ্যা, লোকজনের পলায়ন, প্রতিদিন যুদ্ধের নূতন নূতন নারকীয় সংবাদ । তাহার মনে এত অবসাদ আনিয়াছে যে, আই-এ পরীক্ষায় যেমন করা উচিত ছিল, তাহা সে পারে নাই । পৰীক্ষার হলে বসিয়া অনেকবার কাগজ জমা দিয়া উঠিয়া আসিবার কথা ভাবিয়াছে, কিন্তু মায়ের কথা ভাবিয়া পারে নাই । মায়ের আশা সে বন্ড হইবে । টাকায় দিক দিয়া নহে, যশের দিক দিয়া । রাত্রে শুইয়া সে বাচ্চাছেলের মত মায়ের বুকে মুখ গুজিয়া থাকে। সারাদিনের চিন্তায় পবিশ্রমে ক্লান্ত মস্তিষ্ক তাহাতে বিশ্রাম পায়। পৃথিবীর বড় বড ফাকির ভেতরে মায়ের ভালোবাসাই তাহার কাছে একটুকু সার-পদার্থ বলিয়া বোধ হয়। প্রায় রাত্রে দুইজনে নিশ্চিন্দিপুরের গল্প করে, মৌপাহাড়ীর গল্প করে । গল্প কিছুক্ষণ চলিবার পর কাজল টের পায়, মা কঁাদিতেছে। তখন সে বলেমা, তোমার ছোটবেলার গল্প বলে। 7 S. 8