শান্তি। দেখিতেছ সন্ন্যাসিনী। যাঁহাদের সঙ্গে লড়াই করিতে আসিয়াছ, তাঁহাদের কাহারও স্ত্রী।
সাহেব। টুমি হামারা গোড়ে[১] ঠাকিব?
শান্তি। কি? তোমার উপপত্নীস্বরূপ?
সাহেব। ইষ্ট্রির মট ঠাকিটে পাড়, লেগেন সাদি হইব না।
শান্তি। আমারও একটা জিজ্ঞাসা আছে; আমাদের ঘরে একটা রূপী বাঁদর ছিল, সেটা সম্প্রতি মরে গেছে; কোটর খালি পড়ে আছে। কোমরে ছেকল দেবো, তুমি সেই কোটরে থাক্বে? আমাদের বাগানে বেশ মর্ত্তমান কলা হয়।
সাহেব। টুমি বড় spirited woman আছে, টোমাড় courageএ হামি খুসি আছে। টুমি আমার গোড়ে চল। টোমাড় স্বামী যুড্ডে মড়িয়া যাইব। টখন তোমাড় কি হইব?
শান্তি। তবে তোমার আমার একটা কথা থাক। যুদ্ধ ত দু দিন চারি দিনে হইবেই। যদি তুমি জেত, তবে আমি তোমার উপপত্নী হইয়া থাকিব স্বীকার করিতেছি, যদি বাঁচিয়া থাকি। আর আমরা যদি জিতি, তবে তুমি আসিয়া, আমাদের কোটরে বাঁদর সেজে কলা খাবে ত?
সাহেব। কলা খাইটে উট্টম জিনিস। এখন আছে?
শান্তি। নে, তোর বন্দুক নে। এমন বুনো জেতের সঙ্গেও কেউ কথা কয়!
শান্তি বন্দুক ফেলিয়া দিয়া হাসিতে হাসিতে চলিয়া গেল।
তৃতীয় পরিচ্ছেদ
শান্তি সাহেবকে ত্যাগ করিয়া হরিণীর ন্যায় ক্ষিপ্রচরণে বনমধ্যে কোথায় প্রবিষ্ট হইল। সাহেব কিছু পরে শুনিতে পাইলেন, স্ত্রীকণ্ঠে গীত হইতেছে,—
এ যৌবন-জলতরঙ্গ রোধিবে কে?
হরে মুরারে! হরে মুরারে!
- ↑ ঘরে।