বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० - আর্য্যদর্শন । । F-o-o-o-o----------------- এরূপ প্রস্তাব হইয়াছে যে, এক দুই তিন প্রভৃতি সংখ্যা দ্বারা একপ্রকার ভাষার স্বষ্টি হইবেক। তন্থর পৃথিবীর ভিন্নজাতীয় লোকের প্রয়োজন মত পরস্পরের সহিত কথা বার্তা চলিতে পারে । যাহাহউক বর্তমানে নানাভাষী ( Interpreter) দ্বারা কথঞ্চিৎ উক্ত সভার কার্য্য নির্ব্বাহ করিলে চলে । যখন ইয়ুরোপীয়ের অপেক্ষাকৃত লঘূত্র প্রয়োজন সাধনার্থ এইরূপে সম্ভ সমুখান ! করিতেছেন, তখন ভারতবাসীগণের চুপ করিয়া বসিয়া থাকা কি ভাল দেখায় ? ভারতবাসীর উদ্দেশ্য কত বড়, তাহা মনে করিলেও লোমহর্ষণ হয়। অধুনা ভারতের সামাজিক অস্তিত্ব নাই ; দেহে প্রাণ নাই, ইহা দেখিয়া যে ভারতসন্তান উদাসীন থাকিতে পারেন,তাহার চিত্ত নিশ্চয়ই দয়া মায়া ও স্নেহ মমতা বজ্জি ত এবং র্তাহাতে লজ্জা ও মনুষ্যত্বের লেশ মাত্র নাই। এই মৃতকপ ভারত সমাজের সজীবতা সাধনার্থ কোন যত্ন না আবশ্যক? | কোন কষ্ট না সহনীয় ? কোন স্বার্থ না পরিহার্য্য ? ইয়ুরোপীয়ের ভিন্নদেশীয় প্রাচীন ইতিবৃত্তের উদ্ধারার্থ এত প্রয়াস পাইতেছেন এবং এত ব্যাঘাতকে তৃণজ্ঞান করিতেছেন, তাহ দেখিয়া আমাদের কি ৷ লজ্জা হয় না ? মনে ভরসার কি সঞ্চার হয় না ? ইয়রোপীয়গণের কত প্রতিবন্ধকতা আর আমাদের কত সুবিধা আছে, | তাহা একবার ভাবিয়া দেখা উচিত। | ইয়ুরোপ নানা গবর্ণমেণ্টের অধীন, কিন্তু 離 আছে। ইয়ুরোপে বিভিন্ন ভাষা নিবন্ধন যে প্রতিবন্ধকতা জাহী দুষ্পরিহার্য্য। কিন্তু ভারতে ইংরাজি ভাষা এত প্রচলিত ইয়ুরোপ পরার্থের জন্য এত ব্যাঘাত লুক্কায়িত করিয়া থাকি। আমাদের সাহায্য পাইবার কি কোন প্রত্যাশ ছেন, সেই ইংরাজজাতি আশ্রিত ভারতের প্রতি উপেক্ষা প্রদর্শন করিবেন। অবশ্য বৈশাখ ১২৮ং। ভারত এক গবর্ণমেণ্টের অধীন। ইয়ু: | রোপে রাজনীতি সম্বন্ধে প্রায়ই অনেক | গোলযোগ ও আকৌশল চলিতেছে ; | কিন্তু ভারতে অবিচ্ছিন্ন শাস্তি বিরাজমান ! যে, তদ্বারা সকল কার্য্য সুচারুরূপে | সম্পন্ন হইতে পারে। অতএব যাহা | ইয়ুরোপে সর্ব্বাপেক্ষ গুরুতর ব্যাঘাত, | ভারত সম্বন্ধে তাহার অস্তিত্ব মাত্র নাই। } সত্ত্বেও উদ্যোগী হইয়াছেন। ভারত | কি স্বার্থের জন্য তাদৃশ গুরুতর প্রতিবন্ধ | কত ব্যতিরেকেও উদ্যোগী হইবেন না ? } ইহা মনে করিলেও হৃদয় ব্যথিত হয় | এবং এরূপ ইচ্ছা জন্মে যে পৃথিবী স্থান | দান করুন, রসাতলে প্রবিষ্ট হই, অথবা | বর্ব্বরজাতির প্রতিবেশী হইয়া অরণ্যে বা"| পর্ব্বতকন্দরে গিয়া উন্নত আর্য্য-মস্তক | নাই ? আমরা এরূপ মনে করিতে পারি } না যে, যাহার মানবজাতির উন্নতি | কার্য্যে বরাবর সকলের অগ্রগণ্য হইয়া- { গবর্ণমেণ্ট এরূপ কার্য্যে নিজে স্বত্রপাত | করিতে পারেন না। ইহা সমাজসাধা- | রণের কার্য্য। তবে আশ্বস্তচিত্তে এরূপ } প্রত্যাশা করা যাইতে পারে যে, কার্য্য- {