পাতা:ঈশাচরিতামৃত.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিচার এবং দণ্ডাজ্ঞা । র্যাহার শুদ্ধ চরিত্র জগদ্বাসী সকল নরনারীর বিচার করিবে নরাধমের তাহার বিচারে প্রবৃত্ত হইল। ইতঃপূর্বেই মহাবাজকের প্রাসাদে কুলপতি দলপতি বিজ্ঞ পণ্ডিত এবং ধৰ্ম্মাধক্ষ্যগণ আসিয়া যিশুর জন্য প্রতীক্ষা করিতেছিল, এমন সময় তিনি তথায় উপনীত হইলেন । প্রথমে তিনি প্রধান ধৰ্ম্মযাজক বৃদ্ধ এনাসের নিকট আনীত হন। যদিও সে প্রচীন পাপী স্বয়ং বিচারকর্তা নহে, কারণ সে বৎসর বিচার কার্ঘ্যের ভার তদীয় জামাতা জোসেফ্‌ কায়ফার হস্তে ছিল, তথাপি এ বিষয়ে শত্রুত সাধনে এবং কুমন্ত্রণ দানে সে ক্রটি করে নাই। তাহাকে সকলে যথেষ্ট মান্য করিত। মহাযাজকের পদ রোমীয় রাজপ্রতিনিধির অধীন। স্বতরাং তৎপদাভিষিক্ত ব্যক্তিকে এক প্রকার রাজকৰ্ম্মচারীও বলা যাইতে পারে। বৃদ্ধ এনাল রাজ্যের হিতৈষী, পাইলেটের সহকারী, এই জন্য সে যিশুকে শক্তিমাশক বলিয়া মনে করিত। র্তাহার অনিষ্ট সাধন ইহার দ্বারা যেমন হইয়াছিল এমন কাহারে দ্বারা নহে। একে মহাযাজকংশের প্রধান তাহাতে বৃদ্ধ এবং রাজপ্রতিনিধির অনুগ্রহভাজন, কাজেই তাহার ক্ষমতা অনেক ছিল। ঘিণ্ড ভঙ্গর সম্মুখে উপস্থিত হইলে তাহার ধৰ্ম্মমত ও শিষ্যসম্বন্ধে সে হুই একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিল। তিনি বলিলেন, “যাহা বলিবার তাহাত আমি প্রকাশ্যরূপে বলিয়াছি, তোমার সমস্ত লোকেরাই তাহ জানে, তবে আর আমাকে কেন জিজ্ঞাসা কর ।” জনৈক সৈনিক কৰ্ম্মচারী এক চপেটাঘাত করিয়া বলিল, “কি । তোর এত বড় জাম্পর্ক, মহাযাজককে এমনি করিয়া উত্তর দিল ?” যিশু বলিলেন, “আমি যদি মন কিছু বলিয়া থাকি তাহা প্রমাণ কর। কিন্তু যদি ভাল বলিয়া থাকি ভাহা হইলে মার কেন ?" জনম্ভর তিনি বর্তমান বিচারপতি ধৰ্ম্মযাজক কারফার নিকট সমৰ্পিত হইলেন ।