পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ম তোমাকেও চিন্তা করতে হবে না। এতদিন ত কত লোকের মাইনে নিয়ে চাকরী করে দেখলাম ; এতদিন পরে যদি বিনা-মাইনের একটা কাজ জুটে গেল, তখন ছাড়ি কেন ? দুবেলা দুটো প্ৰসাদ দেবে-এই কথা ।” বড় কৰ্ত্তা এই কথা শুনিয়া বলিলেন, “রমেশ, তুমিই বিবেচনা করে দেখ, আমাদের যখন শক্তি আছে, তখন তুমি নেবে না কেন ?” “নেব না কেন, তা আপনি বুঝবেন না। টাকাই কি বড় হোলো কৰ্ত্তা মশাই ! এত ভালবাসার কি একটা দাম নেই। সেই দাম দিয়ে যে আপনারা আমাকে এই কয়দিনের মধ্যেই কিনে ফেলেছেন, তা জানেন ?” বড় কর্তা আর কথা বলিলেন না । কাশীতে আসিয়া সত্যসত্যই এই এক অমূল্য রত্ন তঁহাদের লাভ হইল। বড় কর্তা কাশীতে পৌছিয়াই হরেকৃষ্ণকে পৌছা সংবাদ দিয়াছিলেন ; হরেকৃষ্ণ ও তাহার উত্তর দিয়াছেন এবং তঁাহারা যে সত্যবাবুর ন্যায়। ভদ্রলোকের আশ্রয় ও সাহায্য পাইয়াছেন, এ সংবাদ পাইয়া হরেকৃষ্ণ অনেকটা নিশ্চিন্ত হইলেন । তাহার পর লক্ষ্মীর অদৃষ্ট যা থাকে, সে পরের কথা। এখনও ত পাঁচ-ছয় মাস বিলম্ব আছে । হরেকৃষ্ণঃ একদিক হিসাব করিয়া পাঁচ ছয় মাস বিলম্ব দেখিলেন ; কিন্তু বিধাতা আর একদিক দিয়া যে তঁাহাকে অকুলে ভাসাইবেন, সে কথা তিনি স্বপ্নেও ভাবেন নাই। de R o