শীঘ্ৰ মরি। কাক, তোমার কথার অবাধ্য হইলাম। কিন্তু আর কোন উপায় বা পথ দেখিলাম না । লক্ষ্মী । কে শুনিবে তাহাদের হৃদয়ভেদী ক্ৰন্দন ! কেহ নাই—কেত নাই ! এই অপরিচিত সহরে কোথায় তাহারা লক্ষ্মীর অনুসন্ধান করিবেন ? তবুও দুইতিনদিন নানা স্থানে ঘুরিলেন। সত্যবাবুর যে সরকারটা কাশীতে ছিল, সেও কয়েক দিন অনেক চেষ্টা করিল। কিন্তু কোন ফলই হইল না । সরকার তাহাদিগকে বলিল “কোন ভয় করবেন না। রমেশ খাটি মানুষ। অমন মানুষ হয় না । তার দ্বারা আপনাদের মেয়ের কোন অনিষ্ট হবে না, এ কথা আমি খুব বলতে পারি। আপনাদের ঠিকানা আমাকে দিয়ে আপনারা দেশে যান। যখনই কোন সংবাদ পাব, তখনই আপনাকে জানাব ।” হরেকৃষ্ণ আর কি করিবেন। তিন চারি দিন বৃথা অনুসন্ধান করিয়া, অবশেষে বাড়ী-ভাড়া মিটাইয়া দিয়া এবং সরকারের হাতে ধরিয়া, সংবাদ দিবার জন্য বারবার অনুরোধ করিয়া, সোণার কমল কাশীর জন-সমুদ্রে ভাসাইয়া দিয়া বাড়ী চলিয়া গেলেন। d V2 R