পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজেরাই যাহা ভাল মনে করিলেন, এবং যাহা জানিতেন, সেই প্ৰকার চিকিৎসার ব্যবস্থা পরদিন করাই স্থির হইল। প্ৰতিবেশী স্ত্রীলোকেরা লক্ষ্মীর জ্বরের ; কথা শুনিয়া দেখিতে ‘আসিলেন, এবং ডাক্তার ডাকিবার জন্য পরামর্শ দিলেন। দুই দিন গেল জ্বর কমিল না । এ অবস্থায় বিনা-চিকিৎসায় মেয়েকে ” এমন ভাবে ফেলিয়া রাখা অকৰ্ত্তব্য বলিয়া থাকলেই মত প্ৰকাশ করিতে লাগিলেন। লক্ষ্মীর মা বলিলেন, “তিন দিন দেখা যাক, যদি জ্বর না ছাড়ে, তা হলে কাজেই ডাক্তার দেখাতে হবে ।” ভগবানের কৃপায় তৃতীয় দিনে লক্ষ্মীর জ্বর অনেকটা কম হইল, কিন্তু পেটে অসহ্য বেদন । টোটুকী ঔষধে বিশেষ। কোন ফল হইল না ; প্রতিবেশিনী একজন জলপাড়া জানিতেন, তাহা আনা হইল বটে, কিন্তু লক্ষ্মীকে খাওয়ান ফ্রইল না ; কারণ যে কারণে পেটে এমন অসহ বেদনা হইয়াছে, এ জল-' . পড়ায় তাহার কি হইবে ? এ দিকে প্ৰকৃত চিকিৎসার পথও একেবারে বন্ধ। লক্ষ্মী ভয়ানক কষ্ট, পাইতে লাগিল। বাড়ীর সকলে আনন্যেপায় হইয়া তাহার এই কষ্ট এই যাতনা দেখিতে লাগিলেন এবং নিজেদের মনে যাহা আসিল, সেই প্ৰকার শুশ্রুষার ব্যবস্থা করিতে লাগিলেন। লক্ষ্মীর অদৃষ্ট গুরুতর কষ্ট, গভীর বেদনা লেখা আছে ; সে এ যন্ত্রণায় মরিবে কেন ? দুই-তিনদিন কষ্ট পাইবার পর তাহার যন্ত্রণার লাঘব হইল ; জম্বরও ছাড়িয়া গেল। কিন্তু শরীর এমন দুর্বল ও অবসন্ন যে, \).