পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরেকৃষ্ণ দাদার কথার কোন উত্তরই দিলেন না-তিনি আর কি বলিবেন—চুপ করিয়া থাকিলেন। র্তাহাকে নীরব দেখিয়া বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “হরি, তুমি ছেলেমানুষ ; তাই এত কাতর হয়েছ। এতে কাতর হবার বা চিন্তা করবার বিশেষ কিছু নাই। তুমি আমাদের সমাজের অবস্থা। জান না, তোমাকে সে সব কখন জানতে ও দিই নাই। এই বয়সে আমি ও-রকম ব্যাপার অনেক দেখেছি, অনেক শুনেছি। তুমি ত শোন নাই, দেখ নাই, তোমার ভ্রাতৃবধূ ও অত-শত জানেন না ; তাই তোমরা ভেবে আকুল হয়েছ। ভাই, আমাদের কুলীনের ঘরে এমন হয়ে থাকে ; আর তার সহজ ব্যবস্থাও আছে । তুমি এক কাজ করা ; ও-পাড়ার বিদ্যা-মুচীকে ত জান ; তার মাকে একবার ব’লে এস, আমার সঙ্গে যেন দেখা করে । তার পর যা হয়, সে আমি করব ; তোমাদের কিছু ভাবতে इtद व् ।।” হরেকৃষ্ণের বয়স ৩২ বৎসর। দশবৎসর বয়সে পিতার মৃত্যু হয় ; দাদা ও পিসিমা র্তাহাকে মানুষ করেন। রামকৃষ্ণ ছোট ভাইকে অতি যত্নে লালন-পালন করেন ; নিজেই ব্যাকরণ কাব্য ও স্মৃতিশাস্ত্র পড়ান। ভাই যাহাতে কোন প্ৰকার কুংসর্গে মিশিতে না পারে, সে দিকে তঁাচার বিশেষ দৃষ্টি ছিল। এমন ভাবে বৰ্দ্ধিত হইয়া হরেকৃষ্ণ অনেক বিষয়ে অনভিজ্ঞ হইয়াছিলেন ; সুতরাং দাদার কথার কোন মৰ্ম্মই তিনি গ্ৰহণ করিতে পারিলেন না । 38