পাতা:উচ্চ জীবন.pdf/৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়ে শহর ও পল্লীজীবনের পার্থক্য দেখিয়েছেন, শহরের কৃত্রিমতা, পল্লীবাসীর সঙ্কীর্ণতা ইত্যাদি সমস্ত রকমের দোষত্রুটির প্রতি অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। এই অধ্যায়েও প্রবন্ধকার নারীর দুর্দশার প্রতি সহানুভুতি জ্ঞাপন করেন। পতিতা অসহায়। নারীর প্রতি তাঁর কী অপরিসীম দরদ ছিল, এই অধ্যায়ে তা পরিস্ফুট হয়েছে। ‘নারী তীর্থ' নামক আশ্রম প্রতিষ্ঠা তাঁর সেই দরদেরই বাস্তব অভিব্যক্তি। তৃতীয় অধ্যায়ে জীবনের ব্যবহার সম্পর্কে বলা হয়েছে। অলসভাবে সময় নষ্ট করা কোনক্রমেই উচিত নয়। জীবনে কাজ করতে হবে। কাজহীন জীবন শত পাপের আবাস।’ জ্ঞানের সাধনায় জীবনকে নিয়োজিত করতে হবে। জ্ঞানের সাধনা ব্যতীত কোন জাতি বড় হতে পারে না। ব্যর্থতায় হতাশ হওয়া কোন মতেই উচিত নয়। বিশ্বাসই আমাদের সাফল্য এনে দেবে। দুঃখ-বেদনার ভিতর দিয়েই মনুষ্যত্বের পূর্ণ জাগরণ হবে। লুৎফর রহমান এই কথাই বিশ্বাস করেন। দেশ-বিদেশের মহৎ ব্যক্তিদের উদাহরণ তিনি আমাদের সামনে উপস্থাপিত করেছেন। ইসলামের মহান আদর্শের কথা বারংবার স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। এখানেও নারীর প্রতি লেখকের সমান সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। নারী যেন স্বাবলম্বী হতে পারে একথা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন এবং সে পথের তিনিই প্রদর্শকও। চতুর্থ অধ্যায়ে পিতামাতার প্রতি সন্তানের ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত তা-ই বর্ণনা করেছেন। হযরত মুহম্মদ (দঃ) -এর বিখ্যাত উক্তি দিয়ে তিনি প্রবন্ধ আরম্ভ করেছেন- মায়ের পায়ের তলায় স্বর্গ।’ পারিবারিক জীবন সম্পর্কে লেখক এই অধ্যায়ে নানাবিধ সমস্যার উত্থাপন করেছেন এবং সমাধানও দেখিয়েছেন। বংশ মর্যাদার কোন মূল্যই নেই যদি না নিজ চরিত্রবলে নিজ কীর্তিতে কেউ বড় হতে না পারে। নারীর কর্তব্য সম্পর্কেও তিনি আবার ইঙ্গিত করেছেন শেষ - পরিচ্ছেদে। চার