পাতা:ঊর্ম্মিমুখর.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্মতিথি উপলক্ষে অভিনন্দন জানালেন। নরেন দেব আমাকে ড়েকে নিয়ে গেলেন চারু রায়ের স্ত্রীর সঙ্গে পরিচিত করতে । চারু রায় কেন যে সাহেবী পোশাক পরে এসেচে, এ আমি বুঝতে অক্ষম, যেখানে নোগুচি নিজে এলেচেন জাপানী পোশাকে। তারপর নোগুচি নিজের জাপানী কবিতা পাঠ করলেন এবং তার ইংরাজী অনুবাদ পড়লেন । কালিদাস নাগ আন্তর্জাতিক P. E, N-এর সভাপতি H. G. Wells-এর একখানা চিঠি পড়লেন আমাদের বঙ্গীয় P, E, N-এর প্রতি শুভেচ্ছাজ্ঞাপকপত্র। জাপানী কনসাল জেনারেল কিছু বল্লেন, কিন্তু তা কেউ বুঝতে পারলে না। যখন এ পর্যন্ত হয়েচে —তখন চপল দেবীর ভাই ফণী চক্ৰবৰ্ত্তী এলে আমাদের টেবিলে বসল। সুরম বসু তাকে চা করে দিলেন। ফণীর সঙ্গে মণীন্দ্র বসু আমায় আলাপ করিয়ে দিতে যাচ্ছিল—ফণী ছেসে করে, অনেক কালের আলাপ আছে, আলাপ করিয়ে দিতে হবে না। তারপর জাপানী সাহিত্য সম্বন্ধে সে কিছু কিছু নিজের মত জানালে, বিশেষতঃ নোগুচির কবিতা সম্বন্ধে । আমি, নিৰ্ম্মল বাবু ও ফণী তিনজনেই তখন গল্পে বেশ মজে গিয়েচি। .সুরমা বস্তুকে ইউরোপীয় সঙ্গীত বিষয়ে জিগ্যেস করলুম কারণ তিনি মিউনিকে বেহালা শিখতে গিয়েছিলেন এবং জাৰ্ম্মান ক্লাসিক্যাল মিউজিক সম্বন্ধে কিছু কিছু জানেন। ক্ষীরোদের স্ত্রীও বেশ মেয়ে । - নোগুচি জাপানী কবিতা পড়লেন, রামানন্দ বাবু সামান্য কিছু বস্তৃতা করলেন—তারপর আমরা মীরা গুপ্তের দলে বসে কিছুক্ষণ গল্প করে নীরদ বাবু ও লোমনাথ বাবুর সঙ্গে মোটরে ময়র স্ত্রীটে এলুম। ওঁরা একটু পরে cirzii Regal-a Mid summer Night's Dream (i-CS eițfi ii şi চলে এলুম। আজ সুধীর বাবুদের বইয়ের দোকান থেকে বার হয়ে গোলদীঘিতে গিয়ে যখন বসেচি, তখন রাত সাড়ে সাতটা । ধোয় এত বেশী, যে আকাশে সপ্তমীর চাদকে ঢেকে ফেলেচে–ট্রামের আলো, বাড়ীর আলো, রাস্তার 'আলো ধোয়ার জালের মধ্যে থিটুমি করচে। মনে পড়ল ১৯১৪ সালের এমন দিনের কথা। আজ একুশ বছর আগেকার ব্যাপার। আমি তখন ফাস্ট