রাগের পরিচয় দিলেন। বাদসাহ শুনিয়া নীরবে রহিলেন; তাঁহার বিস্ফারিত লোচনে দুই এক বিন্দু অশ্রু বহিল।
লুৎফ্-উন্নিসা কহিলেন, “জাঁহাপনা! দাসী শুভ সম্বাদ দিয়াছে। দাসীর এখনও কোন পুরস্কারের আদেশ হয় নাই।”
বাদশাহ হাসিয়া কহিলেন, “বিবি! তোমার আকাঙ্ক্ষা অপরিমিত।”
লু। “জাঁহাপনা, দাসীর কি দোষ?”
বাদ। “দিল্লীর বাদশাহকে তোমার গোলাম করিয়া দিয়াছি; আরও পুরস্কার চাহিতেছ?”
লুৎফ্-উন্নিসা হাসিয়া কহিলেন, “স্ত্রীলোকের অনেক সাধ।”
বাদ। “আবার কি সাধ হইয়াছে?”
লু। “আগে রাজাজ্ঞা হউক, যে দাসীর আবেদন গ্রাহ্য হইবে।”
বাদ। “যদি রাজকার্য্যের বিঘ্ন না হয়।”
লু। (হাসিয়া) “একের জন্য দিল্লীশ্বরের কার্য্যে বিঘ্ন হয় না।”
বাদ। “তবে স্বীকৃত হইলাম;—সাধটী কি শুনি।”
লু। “সাধ হইয়াছে একটী বিবাহ করিব।”
জাঁহাগীর উচ্চহাস্য করিয়া উঠিলেন। কহিলেন, “এ নূতন তর সাধ বটে। কোথাও সম্বন্ধের স্থিরতা হইয়াছে?”