অধি। “ভাল। কিন্তু এই পক্ষান্তরের পথ যুবক যুবতী অনন্যসহায় হইয়া কি প্রকারে যাইবে? লোকে দেখিয়া শুনিয়া কি বলিবে? আত্মীয় স্বজনের নিকট কি বুঝাইবে? আর আমিও এই কন্যাকে মা বলিয়াছি, আমিই বা কি প্রকারে ইহাকে অজ্ঞাতচরিত্র যুবার সহিত একাকী দূরদেশে পাঠাইয়া দিই?”
আবার বলি, ধন্য রে কুলাচার্য্য!
নবকুমার কহিলেন, “আপনি সঙ্গে আসুন।”
অধি। “আমি সঙ্গে যাইব? ভবানীর পূজা কে করিবে?”
নবকুমার ক্ষুব্ধ হইয়া কহিলেন, “তবে কি কোন উপায় করিতে পারেন না?”
অধি। “এক মাত্র উপায় হইতে পারে,—সে আপনার ঔদার্য্যগুণের অপেক্ষা করে?”
নব। “সে কি? আমি কিসে অস্বীকৃত? কি উপায় বলুন।”
অধি। “শুনুন। ইনি ব্রাহ্মণকন্যা। ইহাঁর বৃত্তান্ত আমি সবিশেষ অবগত আছি। ইনি বাল্যকালে দুরন্ত খ্রীষ্টিয়ান তস্কর কর্ত্তৃক অপহৃত হইয়া তাহাদিগের দ্বারা যানভগ্ন কালে এই সমুদ্রতীরে ত্যক্ত হয়েন। সে সকল বৃত্তান্ত পশ্চাৎ ইহাঁর নিকট আপনি সবিশেষ অবগত হইতে পারিবেন। কাপালিক ইহাঁকে প্রাপ্ত হইয়া আপন যোগসিদ্ধিমানসে প্রতিপালন করিয়াছেন। অচিরাৎ আত্মপ্রয়োজন সিদ্ধ করিতেন। ইনি এ পর্য্যন্ত অনূঢ়া;